বিনোদন ডেস্ক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম পারভীন সুলতানা দিতি। সদাহাস্যোজ্জ্বল এই চিত্রনায়িকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (২০ মার্চ)।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের আকাশে আবির্ভাব ঘটে নতুন এক তারকার। তিনিই নন্দিত চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি।
১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মেছিলেন দিতি। ১৯৮৬ সালে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তিনি। তাদের সংসারে রয়েছেন কন্যা লামিয়া চৌধুরী ও পুত্র সাফায়েত চৌধুরী দীপ্ত। সোহেলের মৃত্যুর পর ২০০১ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন দিতি। তবে পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
দিতি সবার কাছে পছন্দের একজন মানুষ ছিলেন। মুখভার করে রাখতে তাকে খুব কমই দেখা গেছে। তিনি ছিলেন সদা হাস্যোজ্জ্বল।
সুভাষ দত্ত পরিচালিত স্বামী স্ত্রী (১৯৮৭) ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীতে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, স্নেহের প্রতিদান, শেষ উপহার, কাল সকালে, মেঘের কোলে রোদ।
Discussion about this post