মুযাজ মাহি
২০ মে, ১৯৯২, ওয়েম্বলি। চ্যাম্পিয়নস লীগ (তৎকালীন ইউরোপীয়ান কাপ) এর ফাইনালে মুখোমুখি ৩য় বারের ফাইনালিস্ট বার্সেলোনা ও প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা সাম্পদোরিয়া। ততক্ষণে ফুটবল বিশ্ব নতুন এক ইউরোপের চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায়। ৯০ মিনিটে গোলশূন্য ড্র এর পর ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। এক্সট্রা টাইম শেষ হওয়ার তখন আর ৮ মিনিট বাকি। এরকম সময় সাম্পদোরিয়ার বক্সের একটু বাইরে ফাউলের শিকার হন বার্সা প্লেয়ার স্টয়চকভ, ফ্রি কিক। বর্তমানে বার্সা ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পেলেই কমেন্টেটরদের মুখে একটি কথা শোনা যায়, “লিও মেসি টেরিটোরি”। আর ১৯৯২ সালে এটি ছিলো রোনাল্ড কোম্যানের টেরিটোরি। নিজের পছন্দের পজিশন থেকে ফ্রি কিক পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি বর্তমানের বার্সা কোচ। তার একমাত্র গোলেই প্রথম ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় বার্সা।
২০২০ সালের আগস্টে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বার্সেলোনার দায়িত্ব নেন কোম্যান। দায়িত্ব নিয়ে গত ৬-৭ মাসে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন দলে। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা নেদারল্যান্ডস এর দায়িত্ব নিয়েও দলকে তুলেছিলেন ২০১৮-১৯ নেশনস লীগের ফাইনালে। কিন্তু আজকের লেখাটা কোচ কোম্যান নিয়ে না। লেখাটা ফুটবলার কোম্যানকে নিয়ে। নতুন ফুটবল দেখা শুরু করেছে এরকম অনেকেই কোম্যানকে চিনে থাকবে শুধুমাত্র কোচ হিসেবেই। কিন্তু একজন ডিফেন্ডার হিসেবেও যে তিনি ছিলেন ওয়ার্ল্ড এর ওয়ান অফ দা বেস্ট, সেটাই একটু তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
১৯৫৬ সাল থেকে এরেডিভিসির পথচলা শুরুর পর থেকে মাত্র ৬ বার বিগ থ্রি হিসেবে খ্যাত ফেইনুর্ড, আয়াক্স ও পিএসভি এর বাইরে অন্য কোন দল চ্যাম্পিয়ন হয়, যা নির্দেশ করে ডাচ লীগে এই ৩ দলের ডমিনেশন। এই বিগ থ্রি এর ৩ টা দলের হয়েই খেলেছেন এরকম প্লেয়ারের সংখ্যা হাতে গোনা। আর এই তিন দলের হয়েই খেলেছেন ও কোচিং ও করেছেন এরকম প্লেয়ার ও কোচ ইতিহাসে একজনই। তিনি রোনাল্ড কোম্যান।
কোম্যানের সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয় নেদারল্যান্ডসের উত্তর দিকের একটি ক্লাব গ্রোনিঙ্গেনের হয়ে। কোম্যান তার ভাই এরুইন কোম্যানেরই পথ অনুসরণ করেছিলেন। তিনি গ্রোনিঙ্গেনের একাডেমীতে থাকতেই তার বল পায়ে কমফোর্টনেস, টেকনিক এবং কনফিডেন্টলি সামনে বল ডিস্ট্রিবিউট করতে পারদর্শীতা দেখান। ১৯৮০ সালে মাত্র ১৭ বছর ১৮৩ দিন বয়সে ডাচ লীগে অভিষেক হয় কোম্যানের। ৩ সিজনে গ্রোনিঙ্গেনের হয়ে তিনি ৯০ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন। তিনি এই ৩ বছরেই তার প্রতিভার জানান দেন। বিশেষ করে একজন ডিফেন্ডার হয়েও এতো গোল করার কারণে মিডিয়াসহ ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ফলও পেতে থাকেন। ১৯৮৩ সালে ডাক পান ডাচ ন্যাশনাল টিমে। একই বছর সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে পাড়ি জমান বিগ থ্রি এর সবচেয়ে সফল ক্লাব আয়াক্সে।
তিনি যে ট্রান্সফার উইন্ডোতে আয়াক্সে যান, একই উইন্ডোতে স্যার ক্রুইফ আয়াক্স ছেড়ে তার ক্যারিয়ারের শেষ বছরটি খেলতে ফেইনুর্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাই অল্পের জন্য পরবর্তীতে গুরু-শীষ্য যুগলবন্দীতে ইউরোপ রাজত্ব করা দুইজনের একই ক্লাবে একসাথে খেলা হয় না আর। আয়াক্সে প্রথম সিজনে লীগ ও কেএনভিপি কাপ দুইটায় জিতে নেয় ফেইনুর্ড। পরের সিজনেই আয়াক্স তাদের লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে। আয়াক্সের ঐ টিমে কোম্যান ছাড়াও ছিলেন আরো দুইজন ভবিষ্যৎ তারকা ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড ও ভ্যান বাস্তেন। ১৯৮৪-৮৫ সিজনে আয়াক্সের টপ গোলস্কোরার ছিলেন ভ্যান বাস্তেন ২২ গোল নিয়ে। ৯ গোল নিয়ে যুগ্মভাবে ৩য় ছিলেন কোম্যান। পরের সিজনে আয়াক্সের কোচ হয়ে কোচিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন ক্রুইফ। ক্রুইফের আন্ডারে দুর্দান্ত এটাকিং ফুটবল খেলে লীগে ৩৪ ম্যাচে ১২০ গোল করেও লিগ টাইটেল পিএসভির কাছে হারায় আয়াক্স। যদিও আয়াক্স কেএনভিপি কাপ জিতে নেয়। আয়াক্সের হয়েও তিনি গোলের ধারা অতিবাহিত রেখেছিলেন। ৯৪ ম্যাচে করেন ২৩ গোল। এই সিজন পর কোম্যান আয়াক্স ছেড়ে যান রাইভাল ক্লাব পিএসভিতে।
পিএসভিতে কাটানো তিন বছরকে কোম্যানের ক্যারিয়ারের সেকেন্ড বেস্ট সময় বলা যায়। যদিও পিএসভির হয়ে শুরুটা ভালো হচ্ছিলো না। যখন লীগের আর ১০ ম্যাচের মতো বাকি তখন দলের কোচ হান্স ক্রায় চাকরি ছেড়ে দেন ও তার স্থলাভিষিক্ত হন দলের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ গাস হিডিঙ্ক। শেষ পর্যন্ত কোম্যান ক্যারিয়ারের ২য় লিগ টাইটেল জিতে নেন। কোম্যানের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় ছিলো ১৯৮৭-৮৮ সিজন। সিজনের শুরুতে রুড গুলিত চলে যাওয়ায় ঐ পিএসভি টিমে সবচেয়ে বড় নাম ছিলো কোম্যান। কোম্যানকে তার প্রথম সিজনে হান্স ক্রায় ডিফেন্সলাইনের পাশাপাশি বেশ কিছু ম্যাচে কোম্যানের বল কন্ট্রোল, অন দা বল টেকনিক ও লং রেঞ্জ শুটিং এবিলিটির তার ৪-৩-৩ সুইপার ফরমেশনে মিডফিল্ডে স্টার্ট করেন। কিন্তু হিডিঙ্কের ৪-৪-২ কিংবা ৪-৩-৩ সুইপার ফরমেশনে ম্যাক্সিমাম ম্যাচেই কোম্যান ছিলেন পিএসভির ডিফেন্সের মূল স্তম্ভ। এছাড়া কিছু ম্যাচে ডাবল পিভটে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেছিলেন। যদিও ডিফেন্সলাইনে খেলার ছাপ তার পরিসংখ্যানে দেখা যায় না। ঐ সিজনে সব কম্পিটিশন মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ২৬ গোলের পাশাপাশি ১৫ টি এসিস্টও করেন। তার দল পিএসভি ডমিন্যান্সের সাথে জিতে নেয় পিএসভি ইতিহাসে একমাত্র ট্রেবল।
কোম্যানের গোলের ট্যালি দেখে মনে করার কারণ নেই যে কোম্যান হয়তো শুধু এটাকিং এই মনোযোগ দিতেন। বরং গাস হিডিঙ্ক কোম্যানকে লীগে এটাকিং ফ্রিডম দিলেও ইউরোপীয়ান কাপে কোম্যানের রেস্পন্সিবিলিটিস ডিফেন্স আগলে রাখাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। কোম্যান সেই দায়িত্ব যে ভালোভাবেই পালন করেছেন তার প্রমাণ পিএসভি ইউরোপীয়ান কাপে হোম ম্যাচে কোন গোলই কনসিড করেনি। পরের সিজনে ইউরোপে ব্যর্থ হলেও পিএসভি লীগ ও কাপের ডাবল জিতে নেয়।
এরই মধ্যে কোম্যান ন্যাশনাল টিমেও সাফল্য অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে অভিষেক হলেও নেদারল্যান্ডসের তখন একটি ট্রাঞ্জিশনাল পিরিয়দের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় ১৯৮৪ ইউরো ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে রাইকার্ড, বাস্তেন, গুলিত ও কোম্যানদের নিয়ে গড়া অন্যতম সেরা ডাচ টিম ১৯৮৮ ইউরোতে কোয়ালিফাই করে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে হারলেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ও আয়ারল্যান্ডের সাথে ড্র করে সেমিতে পৌঁছে যায় ডাচরা। সেমিতে জার্মানির মুখোমুখি হয় কোম্যানরা। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা ডাচদের পেনাল্টিতে গোল করে সমতায় ফেরান কোম্যান। ৮৮ মিনিটে ভ্যান বাস্তেনের গোলে জিতে যায় নেদারল্যান্ডস। ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ তে হারিয়ে একই বছর ইউরোপের সেরা দুই কম্পিটিশনে টাইটেল অর্জন করেন কোম্যান।
ডাচ লীগের বিগ থ্রি এর ২ টি দলে ৬ বছর কাটিয়ে কোম্যান ততোদিনে বিশ্বে ঐ সময়ের বেস্ট সেন্টারব্যাকদের একজন হিসেবে প্রমাণ করেছিলেন। তার বল প্লেয়িং এবিলিটি, এটাকে কন্ট্রিবিউশন, নিয়মিত পেনাল্টি ও ফ্রি কিকে গোল করার পারদর্শীতা, লং রেঞ্জ একুরেট শুটিং সব কিছু মিলিয়ে ততোদিনে তিনি নিজেকে ঐ সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা
ফুটবলারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ টানা দুই বছর সেরা ডাচ ফুটবলারের পুরষ্কারও জিতে নিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে ১৯৮৮ সালে ক্রুইফ বার্সায় যোগ দেন এবং তার বিখ্যাত ড্রিম টিম গড়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালের সামার ট্রান্সফারে ডাচ লীগের সেরা খেলোয়াড় যোগ দেন বার্সেলোনায়। পিএসভির হয়ে তিনি ১২৯ ম্যাচে ৬৩ গোল ও ৩৪ টি এসিস্ট করেছিলেন, লীগে করেছিলেন ৯৮ ম্যাচে ৫১ গোল। এই স্ট্যাটস ফরোয়ার্ড লাইনের যেকোন প্লেয়ারের জন্যই অনেক ঈর্ষণীয় সেখানে কোম্যান ছিলেন একজন ডিফেন্ডার।
১৯৮৯ সালে কোম্যান বার্সায় জয়েন করার পর তার মেইন পজিশন হয় ৩-৪-৩ ডায়মন্ড ফরমেশনের ৩ জনের ডিফেন্স লাইনের মিডলে। তিনি ছিলেন দলের ডিফেন্সের মূল স্তম্ভ। এছাড়াও তাকে ক্রুইফ বল নিয়ে সামনে মুভ করার ফ্রিডমও দিয়েছিলেন। তার আউটস্ট্যান্ডিং বল প্লেয়িং এবিলিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছিলেন ক্রুইফ। ডায়মন্ড ফরমেশনে সিঙ্গেল পিভটে থাকা গার্দিওলার সাথে তার বোঝাপড়া ছিলো দুর্দান্ত। বার্সার বিল্ডআপ শুরু হতো এই দুইজনের মাধ্যমেই। কোম্যান বল নিয়ে সামনে আগালে গার্দিওলা ডীপে ড্রপ করে কোম্যানের পজিশন নিতো। আবার গার্দিওলার পায়ে বল থাকলে কোম্যান থাকতো গার্দিওলার পেছনে শিল্ড হিসেবে। অনেক সময় স্যার ক্রুইফ ৪-৩-৩ ডিফেন্ডিং ফরমেশন ইউজ করলে কোম্যান ও গার্দিওলাকে ইউজ করতেন ডাবল পিভট হিসেবে। ক্রুইফ কোম্যানের পিএসভির মতো উপরে উঠে গোল স্কোর করার কাজটিকে একটু রেস্ট্রিকটেড করে দিলেও তাকে দিয়েছিলেন বল পায়ে ফ্রি রোল। যদিও পেনাল্টি আর ফ্রি কিক নেওয়ার ভার ন্যস্ত ছিলো কোম্যানের উপরেই।
ক্রুইফের এই গার্দিওলা-কোম্যানকে নিয়ে গড়া ডিফেন্স লাইন ও লাউড্রপ-স্টয়চকোভ-রোমারিও-বাকেরোদের নিয়ে গড়া এটাকিং লাইন সুন্দর টোটাল ফুটবলের প্রদর্শনী ঘটিয়ে ফুটবলপ্রেমী মানুষদের মন তো জয় করেছিলেনই, সাথে পেয়েছিলেন আকাশছোঁইয়া সাফল্য। ১৯৮৯-৯০ সালে কোপা ডেল রে দিয়ে শুরু। এরপর ১৯৯০-১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চারটি লীগ শিরোপা জিতে নেয় বার্সা, এর সাথে ছিলো ১৯৯২ সালের ইতিহাসে প্রথম ইউরোপীয়ান কাপ। ১৯৯৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লীগেও শিরোপা জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো ড্রিম টিম। কিন্তু ফাইনালে ক্যাপেলোর মিলানের কাছে ৪-০ তে হেরে রানার্সআপ হয়েই খুশি থাকতে হয়। ঐ সিজনে কোম্যান চ্যাম্পিয়নস লীগে করেন ৮ গোল। একজন ডিফেন্ডার হয়েও তিনি হয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এর এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৫ সালে বার্সা ছেড়ে আবার নেদারল্যান্ডসে পাড়ি জমান কোম্যান। এবার গন্তব্য বিগ থ্রি এর সর্বশেষ ক্লাব ফেইনুর্ড। বার্সায় ৬ বছরে ২৬০ ম্যাচে ৮৪ টি গোল ও ৮ টি এসিস্ট করেন। একটা লম্বা সময় কাতালান ক্যাপ্টেন আর্মব্যান্ডও পড়েছিলেন তিনি।
ফেইনুর্ডে ২ বছর কাটানোর পর তিনি ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। জাতীয় দলের হয়েও ৭৮ ম্যাচে তিনি ১৪ গোল করেন। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেন তিনি ২৫৩ গোল নিয়ে। যা ফুটবল ইতিহাসে কোন ডিফেন্ডারের জন্য সর্বোচ্চ। এই তালিকায় ২য় স্থানে থাকা ড্যানিয়েল পাসারেল্লার গোলসংখ্যা তার থেকে ৭৮ টি কম। অদূর ভবিষ্যতেও এই রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফ্রি কিক থেকে কোম্যান ৬০ টি গোল করেছেন, যা ইতিহাসে ৮ম সর্বোচ্চ। এই তালিকায় টপ টেনে নেই আর কোন ডিফেন্ডার। তিনি খেলোয়াড় হিসেবে কখনো ব্যালন ডি’অর না পেলেও গত বছর ব্যালন ডি’অর ড্রিম টিমে নমিনেশন পাওয়া ফুটবল ইতিহাসে বেস্ট ১০ জন সেন্টারব্যাকদের মধ্যে একজন ছিলেন কোম্যান।
তিনি ফুটবল ইতিহাসে বেস্ট সেন্টারব্যাক হয়ত না, তিনি ম্যাক্সিমাম সময়ে খেলেছিলেনও সুইপার রোলে। কিন্তু গোলসংখ্যা ও অসাধারণ বল প্লেয়িং এবিলিটির জন্য তিনি ওয়ান অফ দা বেস্ট এটাকিং সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তকমা পেয়েছেন। বার্সা ইতিহাসের বেস্ট সেন্টারব্যাকও তিনি আনডাউটেডলি। ১৯৬৩ সালে এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই কিংবদন্তী।
শুভ জন্মদিন, স্যার রোনাল্ড কোম্যান!
Discussion about this post