খেলাধুলা ডেস্ক
নেপালের ফুটবল আমেজে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। চতুর্থ বারের মত বাফুফের সভাপতি নির্বাচির হওয়ার পরই বলেছিলেন, এখন থেকে বাংলাদেশের প্রতিটা খেলা তিনি মাঠে বসে দেখবেন। সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতেই আজ নেপালের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছেন তিনি। সাথে ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু নাঈম সোহাগ, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, নুরুল ইসলাম নুরু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম করিম।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হতে যাচ্ছে তিন জাতি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তান অলিম্পিক দল। দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৬টায়।
টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র এক দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে জামাল মানিয়ে নিতে পারবেন কি? প্রশ্নটা থেকেই যায়। তবে বাফুফে সভাপতির কাছে ব্যাপারটাকে তেমন বড় কিছু মনে হয়নি। প্রশ্নের উত্তরে জামালের পেশাদারত্বের কথাটাই তুলে ধরেছেন কাজী সালাউদ্দিন, ‘সে পেশাদার ফুটবলার। অল্প সময়ে মানিয়ে নেওয়াটা কোনো ব্যাপার না ওর কাছে। আগামীকালের ম্যাচ সে খেলতেও পারে।’
সভাপতির কথায় বিমানবন্দরে পাশে বসে সায় দিলেন জামালও। প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলার ইচ্ছা তাঁর। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। আজ দলের সঙ্গে অনুশীলন করব। এরপর কোচের সিদ্ধান্ত।’
তিন দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তান ছাড়া অন্য দলটি স্বাগতিক নেপাল। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জামাল ভূঁইয়াদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিকেরা। একে অপরের বিপক্ষে খেলা সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি দল খেলবে ২৯ মার্চ ফাইনালে।
কোচ জেমি ডে এই টুর্নামেন্টকে নিয়েছেন নতুন খেলোয়াড় পরখ করে দেখার উপলক্ষ হিসেবে। ওদিকে খেলোয়াড়দের আশা আরও বড়। তাঁরা জিততে চান শিরোপা। খেলোয়াড়-কোচ, উভয়ের লক্ষ্য মিলে গেলেই সোনায় সোহাগা। আর সে লক্ষ্যে জামালের মতো কার্যকরী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নিঃসন্দেহে অন্যতম বড় অস্ত্র বাংলাদেশের।
Discussion about this post