নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে । এ আবেদন চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে সোমবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি সেন্টারের পরিচালক ড. বাবুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া তিন ধাপের এই চূড়ান্ত আবেদন চলবে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, তালিকায় থাকা ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে আবেদন করতে পারবে। যা চলবে ২৩ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আবেদন পূর্ণ না হলে দ্বিতীয় ধাপে তথা ২৮ থেকে ২৯ মার্চে তালিকায় থাকা পরবর্তী ধাপের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবে। একইভাবে শেষ ধাপ তথা ৩০ থেকে ৩১ মার্চ তালিকার আরো পিছনে থাকা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে বলে জানান তিনি।
তিন ধাপে কেন আবেদন প্রক্রিয়া চলবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, একধাপে এই ভর্তি আবেদন পরিচালনা করলে অনেক সময় নির্ধারিত আবেদন পূর্ণ হয় না। কেননা বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় প্রাথমিক আবেদনে একই শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইউনিটে আবেদন করে থাকে এবং যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে একাধিক ইউনিটে তারা আবেদনের সুযোগ পায়। কিন্তু প্রাথমিক আবেদনে একাধিক ইউনিট পছন্দ করলেও পরে অনেকে চূড়ান্ত আবেদন করে না। আবার অনেকে প্রাথমিক আবেদন করলেও চূড়ান্ত আবেদন করে না। ফলে নির্ধারিত আবেদন সংখ্যা অপূর্ণ থেকে যায়।
মূলত এ সমস্যা সমাধানের জন্যই তিন ধাপে চলবে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রত্যেক আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রত্যেক ধাপের নির্ধারিত সময়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন ধাপে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া থাকার ফলে তালিকায় প্রথম ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর পিছনে থাকা শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেতে পারে বলে জানান ড. বাবুল ইসলাম।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ১৯১টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ২০১৯টি। এতে থাকা বিভাগগুলো হলো কলা, আইন, সমাজ বিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ ও শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ ইউনিটে আসন ১৬১২টি। এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)। আর ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন ৫৬০টি।
উল্লেখ্য, এবারের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন করার জন্য সার্ভিস চার্জসহ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০০ টাকা। এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতি ৫টি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০।
Discussion about this post