খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয় দল প্রথম বারের মতো কিরগিজস্তানকে হারাল, যদিও এটি অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ম্যাচের একমাত্র গোলটি অবশ্য বাংলাদেশ নয় কিরগিজদের বদান্যতায়। ফলে ম্যাচ জিতলেও পূর্ণ তৃপ্তি সেই অর্থে নেই।
বাংলাদেশ ১-০ গোলে জিতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে ইতোমধ্যে। ২৫ মার্চ কিরগিজস্তান স্বাগতিক নেপালকে হারাতে না পারলে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠে যাবে ওই দিনই। নেপালের প্রস্তুতি, শক্তিমত্তায় কিরগিজস্তানের এই দলের বিরুদ্ধে পয়েন্ট পাওয়া প্রত্যাশিতই।
কিরগিজ দলটি অলিম্পিক দল হলেও দেখে মনে হয়েছে আরও জুনিয়র। বয়সে ও অভিজ্ঞতায় কম হলেও পজিশন সেন্স ও টেকনিকে তারা পরিপক্কতার ছাপ দেখিয়েছেন। দ্রুত গতির আক্রমণে তারা যথেষ্ট মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। অন্য দিকে জেমির বাংলাদেশ তুলনামূলক অভিজ্ঞ ও বয়সে সিনিয়র হলেও তেমন গোছালো ফুটবল খেলতে পারেনি।
অভিষিক্ত তিন জনের মধ্যে শুধু ডিফেন্ডার রিমন হোসেন পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। হাবিবুর রহমান সোহাগ ও মেহেদী হাসান রয়েলকে ৫৫ মিনিটের সময় উঠিয়ে নেন জেমি।
৫৫ মিনিটে কোচ জেমি ডে একসাথে তিনটি পরিবর্তন করেন। মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া, ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি, রাকিব হোসেনকে নামান। তাদের পরিবর্তে সোহেল রানা, মাসুক মিয়া জনি ও অভিষিক্ত হাবিবুর রহমান সোহাগকে তুলে নেন। সোহেল একাদশে অধিনায়ক হিসেবে শুরু করেছিলেন। তাকে উঠিয়ে নেওয়ায় মাঠেই জামালের হাতে আর্ম ব্যান্ড হস্তান্তর করা জয়।
দশ মিনিট পর মানিক মোল্লাকে নামান আরেক অভিষিক্ত রয়েলের পরিবর্তে। ৭০ মিনিটে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের পরিবর্তে আরেক ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতকে নামিয়ে বদলির পাঁচটি কোটা পূর্ণ করেন জেমি।
দ্বিতীয়ার্ধে অভিজ্ঞরা নামলেও বাংলাদেশ দল শেষ বিশ মিনিট বেশ চাপে ছিল। লম্বা বল খেলে ও বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নিয়ে গোলরক্ষক জিকোকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন কিরগিজস্তানের ফরোয়ার্ডরা। বিশেষ করে ৬ মিনিট ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশ খুব বিপদে ছিল।
৯২ মিনিটে বক্সের পাশে ফাউল করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার। সেই ফ্রি কিক থেকে কর্নার হয়। যেখান থেকে এক মিনিটের মতো বল বাংলাদেশের বক্সে ঘোরাঘুরি করেছিল। শেষ মিনিটে আবার কর্নার পায় কিরগিজস্তান। সেই কর্নারে কিরগিজস্তান ফরোয়ার্ড হেড করলেও পোস্টের উপর দিয়ে যায়।
৯ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সাদ উদ্দিনের বক্সের মাঝে বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার কুমারবাচ। ওই গোলেই ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।
Discussion about this post