নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। বুধবার বেলা ১১ টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকার প্রধান।
এর আগে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং হচ্ছেন চতুর্থ বিশ্বনেতা।
রাজকীয় ভুটান এয়ারলাইন্স দ্রুক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমান থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রী ফুলের তোড়া দিয়ে আগত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভার স্মৃতিসৌধে জানান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে শেরিং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল তার রোপণ করা মিমুসোপস ইলাঙ্গি ভ্যারিগাতা চারাগাছটিও তিনি পরিদর্শন করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এর সম্মানে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে নৈশভোজের আয়োজন করেন। লোটে শেরিং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। উভয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং পদস্থ সরকারি বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শেরিংয়ের সাক্ষাত হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
বিকেলে শেরিং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ন্যাশনাল প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন।
Discussion about this post