নিউজ ডেস্ক
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সরকারি আদেশের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে রাত ৯টায় মুহূর্তেই নিভে যায় বিভিন্ন স্থানের সব আলো। শাহবাগ এলাকায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলায়ও এসময় নেভে বাতি। তবে মূল হিসেবে নিভেছিল স্বাধীনতা স্তম্ভের আলো। কিছুক্ষণের জন্য যেন ফুটে উঠেছিল ১৯৭১ সালের ভয়াবহ সেই রাতের চিত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার অঞ্চলসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এসময় একইসঙ্গে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় অনেক জায়গায় ভয়াল সেই রাতকে আরও মূর্ত করে তুলতে মাইকে বাজানো হয় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ আর বিপদগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
২৫ মার্চে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের আঁধারে হত্যা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। এছাড়া অন্য অনেক স্থানেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এর আগে সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে গণহত্যা দিবসে এক মিনিট ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ২৫ মার্চ রাতে সকল আলোকসজ্জা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদের স্বীকৃতির পর একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটিকে ২০১৭ সালে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
১৯৭১ সালের এ রাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালিদের ওপর নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। সেই রাতকে স্মরণ করতেই সরকারের পক্ষ থেকে ব্ল্যাক-আউটের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post