নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা প্রয়োজন। আমাদের যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি সাহিত্য-চলচ্চিত্র-সংগীতের মাধ্যমে এ চেতনার বীজ তরুণদের মননে বপন করতে হবে। যে অসাম্প্রদায়িকতা ও সাম্যের চেতনায় বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীন করেছিলাম, তার প্রসার ঘটিয়ে মৌলবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় আমাদের সমস্ত অর্জন ও মূল্যবোধ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ৫০তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। আজ ২৬ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১টায় অনলাইনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি খুলশী নোমান সোসাইটিস্থ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মহামারীর প্রকোপ রোধে তা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বছরব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব’ উদযাপনের কর্মসূচি উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য।
স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবিরের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এ বছর আমাদের জন্য এক অন্যতম উৎসবের বছর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ একইসাথে পালন করছি আমরা।
মুখ্য আলোচক স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা স্বাধীনতার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারছিনা। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও অত্যাচার থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি ঠিকই কিন্তু সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা।
আরো বক্তব্য রাখেন প্রক্টর মু. আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে শাহ আহমদ রিপন, অনন্যা নন্দী, ইসতিয়াক আজিজ।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সকাল দশটায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া।
Discussion about this post