নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল তিনটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত আবেদন শেষ হচ্ছে । তিন ধাপের এই চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু হবে একইদিন রাত আটটা থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ওয়েবসাইটে (https://application.ru.ac.bd) গিয়ে যোগ্যপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপের এ আবেদন চলবে আগামী সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, ২২ মার্চ রাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশের পরদিন মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রথম ধাপের চূড়ান্ত আবেদন। তিন দফায় এ আবেদন চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এদিকে, তৃতীয় ও শেষ ধাপের আবেদন শুরু হবে আগামী সোমবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা থেকে। চলবে আগামী ৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
আগামী ২৭ মে দুপুর ১২টা হতে ২ জুন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবেদনকারীদের প্রবেশপত্র অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রবেশপত্র আর ডাউনলোড করা যাবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৪, ১৫ এবং ১৬ জুন রাবির তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিন ধাপে কেন আবেদন প্রক্রিয়া চলবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি সেন্টারের পরিচালক ড. বাবুল ইসলাম বলেন, একধাপে এই ভর্তি আবেদন পরিচালনা করলে অনেক সময় নির্ধারিত আবেদন পূর্ণ হয় না। কেননা বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় প্রাথমিক আবেদনে একই শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইউনিটে আবেদন করে থাকে এবং যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে একাধিক ইউনিটে তারা আবেদনের সুযোগ পায়। কিন্তু প্রাথমিক আবেদনে একাধিক ইউনিট পছন্দ করলেও পরে অনেকে চূড়ান্ত আবেদন করে না। আবার অনেকে প্রাথমিক আবেদন করলেও চূড়ান্ত আবেদন করে না। ফলে নির্ধারিত আবেদন সংখ্যা অপূর্ণ থেকে যায়।
মূলত এ সমস্যা সমাধানের জন্যই তিন ধাপে চলবে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রত্যেক আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রত্যেক ধাপের নির্ধারিত সময়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন ধাপে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া থাকার ফলে তালিকায় প্রথম ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর পিছনে থাকা শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেতে পারে বলে জানান ড. বাবুল ইসলাম।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ১৯১টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ২০১৯টি। এতে থাকা বিভাগগুলো হলো কলা, আইন, সমাজ বিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ ও শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ ইউনিটে আসন ১৬১২টি। এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)। আর ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন ৫৬০টি।
উল্লেখ্য, এবারের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন করার জন্য সার্ভিস চার্জসহ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০০ টাকা। এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতি ৫টি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০।
Discussion about this post