মো. ইকবাল হোসেন
আমাদের অনেকেরই অভিযোগ থাকে, শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর পরও তার ওজন ও উচ্চতা কোনোটাই বাড়ে না। কেন এমনটা হচ্ছে? আপনাকে মনে রাখতে হবে, জেনেটিকস বলে একটি বিষয় আছে। আমি এটাও বলছি না যে শুধু জেনেটিকসের ওপরেই সবকিছু নির্ভর করে। আরও অনেক বিষয় আছে শিশুর ওজন ও উচ্চতা বাড়ার ক্ষেত্রে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মা এবং মায়ের যত্ন। যেটা আমরা অনেকেই একেবারে ভুলে যাই।
অথচ শিশুর যত্নের শুরু হওয়া উচিত ছিল মায়ের গর্ভধারণের সময়ে। অথবা তারও অনেক আগে। গর্ভকালেরও আগে শিশুর যত্ন নিতে হবে, এটা শুনে নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, তা–ই না? অবাক হওয়ার কিছু নেই, আপনি ঠিকই শুনেছেন। মায়ের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয়, তাহলে শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে কীভাবে? মা যদি সুস্থ ও স্বাভাবিক না থাকেন, তাহলে কিন্তু শিশুও সুস্থ–স্বাভাবিক হবে না। একজন সুস্থ–স্বাভাবিক মা–ই পারেন একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই আগে মায়ের যত্ন নিন। গর্ভধারণ করার আগে দেখুন মায়ের ম্যালনারিশড বা ওভারনারিশড আছে কি না।
সন্তানের আগে মায়ের যত্ন নিন। মায়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হোন। গর্ভকালে মা যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম হবে। মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা না থাকলে আপনার সন্তান কখনোই স্বাস্থ্যবান হবে না।
গর্ভকালে মায়ের যদি হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দেয়, আর আপনি যদি সেটার সঠিক চিকিৎসা না করেন, তাহলেও একই সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও আপনি সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান আশা করতে পারেন না।
মা যদি সুস্থ না থাকেন, তাহলে কিন্তু সন্তানের জন্মের পর সে মায়ের বুকের দুধও ঠিকমতো পাবে না বা একেবারেই পাবে না। যেটি আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য।
তাই সন্তানের আগে মায়ের যত্ন নিন। মায়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হোন। গর্ভকালে মা যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম হবে। মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা না থাকলে আপনার সন্তান কখনোই স্বাস্থ্যবান হবে না। সেটা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজনে অবশ্যই আপনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
Discussion about this post