খেলাধুলা ডেস্ক
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডের কাছে গোল না করেই ফাইনালে ওঠার বিষয়টি উত্থাপন করতেই হাসি মুখেই উত্তর দিলেন, ‘আসলেই বিষয়টি তো বিস্ময়কর! আসলে স্কোরিং শুধু বাংলাদেশেই নয়, এশিয়ারই সমস্যা। নেপাল মিস করেছে অনেক। কিরগিজস্তানও গোল করতে পারেনি।’
বাংলাদেশের স্কোরিং ব্যর্থতার জন্য আবারও ঘরোয়া লিগের নীতিকে দোষ দিয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ, ‘বাংলাদেশ লিগে চার জন বিদেশি খেলে। ক্লাবগুলো ফরোয়ার্ড লাইনে বিদেশিদেরই খেলায় ফলে এই সমস্যা রয়েই যাচ্ছে।’
দুই ম্যাচে গোল না পেলেও ফাইনালে গোল পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ কোচ, ‘দুইটি ম্যাচ বেশ কঠিন ছিল। আমার ছেলেরা ভালোই খেলেছে। আশা করি ২৯ মার্চ গোল পাবে।’ গোল না পেলেও বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের পারফরম্যান্স সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেছেন কোচ, ‘ফরোয়ার্ড ভালোই খেলেছে। তাদের খেলায় আমি সন্তুষ্ট। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ব্যতিব্যস্ত রেখেছে তারা।’
কোচ জেমি ডে এই টুর্নামেন্টে এসেছিলেন নিজের ফুটবলারদের পরীক্ষা করতে। দুই ম্যাচে ২৩ জনের স্কোয়াডের মধ্যে ২২ জনকেই পরখ করেছেন জেমি। শুধু মাত্র গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বাদে। তাকে সুযোগ না দেওয়া সম্পর্কে জেমি বলেন, ‘রানা পরীক্ষিত ফুটবলার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সাথে সে পরিচিত। সোহেল অনেক দিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে না। এজন্য এই ম্যাচে সোহেলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুই ম্যাচে দুই গোলরক্ষকের বেশি খেলানোর সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশ দলকে দুই ম্যাচে দুই একাদশ খেলিয়েছেন। ফাইনালের জন্য কি সেরা একাদশ বাছাই হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে জেমি বলেন, ‘ফাইনালের একাদশ নিয়ে আগামীকাল ভাবব।’
Discussion about this post