এবার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে করোনা প্রতিরোধে সরকারের নতুন ১৮ দফা নির্দেশনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
প্রসঙ্গত, করোনার মধ্যে অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কওমি মাদ্রাসায় পাঠদান চলছিল। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২২ মের পর। বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে আর হলগুলো খুলে দেওয়া হবে ১৭ মে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্তেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত নির্দেশনার ১০ নম্বরে বলা হয়, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।’
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে কওমি মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়া হয়।
নতুন নির্দেশনায় কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকবে কিনা- প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখানে উল্লেখ করে দিয়েছি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কোনও শিক্ষার্থী আপাতত আসবে না। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। এখানে কওমি না, সব মাদ্রাসা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা সব জায়গায় বন্ধ থাকবে। কারণ এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা যদি রোধ করতে না পারি তাহলে সমস্যা হবে। ’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে রিপোর্ট আছে যারা ইসলামিক ওয়াজে উপস্থিত ছিলেন তারা অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এটা একটা ভাইরাস, সেটা কাউকে ছাড়বে না। কেউ অন্য কিছু বিশ্বাস করে যদি করোনাকে ভয় না করেন, ভয় না পাওয়া অযৌক্তিক, আপনাকে অবশ্যই সুরক্ষায় রাখতে হবে।’
Discussion about this post