খেলাধুলা ডেস্ক
ফাইনালে এসে প্রথম দুই ম্যাচের দুই একাদশ থেকে বাছাই করে একাদশ গঠন করেন জেমি ডে। যেখানে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সোহেল রানা, বিপলু আহমেদের। যে সোহেল রানা প্রথম ম্যাচের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ছিলেন তাকে বদলি হিসেবেও নামানো হয়নি।
তবে ফাইনালে বাংলাদেশ একাদশ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন টুর্নামেন্ট জয়ী কোচ বাল গোলাপ মহারজন। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
“এক ঘণ্টা আগে যখন একাদশ দেখলাম তখন ছয় জন ফরোয়ার্ডকে দেখি তাই ভাবলাম মাত্র দুইজন ডিফেন্স খেলাবে। তখন খুবই অবাক হয়েছিলাম। ভাবছিলাম তারা শুরু থেকেই হয়তো খুব আক্রমণাত্মক হবে। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর দেখি, না তেমন কিছু না।”
সাদ উদ্দিন নিয়মিত রাইট উইঙ্গে খেললেও আজ ছিলেন রাইট ব্যাকে। এছাড়া রিমন হোসেন মূলত উপরের খেলোয়াড় হলেও বনে গেছেন একজন ডিফেন্ডার হিসেবে। তাই এসব কারণেই বিস্মিত হয়েছেন নেপাল কোচ বাল গোপাল। তবে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভুলেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলের দেখা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নেপালি কোচ। তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের ডিফেন্স আগের ম্যাচে অনেক অগোছালো ছিল। এ ম্যাচেও গোছালো না থাকায় আমরা গোলের সুযোগ পেয়েছি। সেটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হই।”
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ, এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সাথে গোল শূন্য ড্র করলেও ফাইনালে এসে ২-১ গোলে হেরে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
Discussion about this post