খেলাধুলা ডেস্ক
দীর্ঘ বিরতির পর গত ২২শে মার্চ থেকে শুরু হয় এনসিএলের ২২তম আসরের খেলা। জৈব সুরক্ষিত প্রটোকল নিশ্চিত করা হলেও ক্রিকেটারদের করোনা আক্রান্ত হওয়া থামানো যাচ্ছে না।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই করোনা পজিটিভ আসে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের। তবে দ্বিতীয় দফায় নেগেটিভ আসায় প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে পেরেছেন তারা, প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন করোনা পজিটিভ আসে সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনের।
এরপর করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট দলটাই, এবাদত ছাড়াও দলটির আরও ৫ ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ আসে। তারা হলেন, খালেদ আহমেদ, অলক কপালি, রেজাউর রহমান, ইমতিয়াজ হোসেন ও তৌফিক খান, সবাইকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
দলের ৬ ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একাদশ সাজানো নিয়েই সংকটে পড়েছে সিলেট বিভাগ। শুধু সিলেটই নয়, রংপুরের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আকবর আলী, নাঈম ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবুকে পাচ্ছে না রংপুর, কারণ তারা সবাই করোনা পজিটিভ।
করোনা পজিটিভ খুলনা বিভাগের ইমরানুজ্জামান ও বরিশাল বিভাগের মোহাম্মদ আশরাফুলও, তবে দ্বিতীয় দফায় নেগেটিভ এসেছে আশরাফুলের। ক্রিকেটারদের বাহিরে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ঢাকা মেট্রোর কোচ ওয়াহিদুল গণির, তাকেও আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
জৈব সুরক্ষিত প্রটোকলেও এত এত ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে বিসিবির বায়ো বাবল প্রক্রিয়া নিয়ে। এভাবে একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হতে থাকলে টুর্নামেন্ট চালিয়ে নেওয়া নিয়েই দেখা দিবে অনিশ্চয়তার।
Discussion about this post