ব্যক্তিগত গ্যারান্টি অথবা শিক্ষা সনদ জামানত দিয়ে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন নতুন উদ্যোক্তারা। চার শতাংশ সুদে ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়সের উদ্যোক্তারা এই ঋণ নিতে পারবেন।
প্রতিটি ব্যাংকই তাদের গ্রাহকদের এই পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে পারবে। প্রত্যেক ব্যাংক যে পরিমাণ ঋণ দেবে তার ১০ শতাংশ নারীগ্রাহককে দিতে হবে।
একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন। তবে এই ঋণ গ্রাহকদের এককালীন দেওয়া হবে না। প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তিতে ন্যূনতম ৩ কিস্তিতে এই ঋণ ছাড় করবে ব্যাংক। ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে তহবিল দেবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩.৫০ শতাংশ সুদ যোগ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ৪ শতাংশ সুদ আদায় করতে পারবে। সরল সুদে এই ঋণ দেওয়া হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরি শিক্ষা না থাকলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগ পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ বছরের জন্য এই ঋণ পাওয়া যাবে। গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ১ বছর। ঋণ পরিশোধ শুরু হলে তিন মাসে বা ছয় মাসে কিস্তি আকারে ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
একই গ্রাহক একাধিক প্রকল্প বা একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। একজন গ্রাহক একবারই এই তহবিল থেকে ঋণ পাবে। তবে প্রথমে ১ কোটি টাকার কম ঋণ নিলে পরে প্রকল্পের সম্ভাবনা বিবেচনায় ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ বাড়ানো যাবে। জামানতের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়, ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতা উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির অঙ্গীকারনামাই ব্যক্তিগত গ্যারান্টি হিসেবে বিবেচিত হবে। দুজনের বেশি ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বাধ্যতামূলক করতে পারবে না ব্যাংক।
তাছাড়া ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণের সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
গত ১১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় স্টার্ট-আপ উদ্যোগে ঋণ সহজলভ্য করতে এই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ থেকে জারি করা নীতিমালার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোরও নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে একটি স্টার্ট-আপ ফান্ড গঠন ও এর নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলো ২০২১ সালের পর থেকে পরবর্তী ৫ বছরে প্রতিবছর তাদের পরিচালন মুনাফা থেকে ১ শতাংশ স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের অনুকূলে বিতরণের লক্ষ্যে তহবিল আকারে সংরক্ষণ করবে। এই তহবিলের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিলের নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Discussion about this post