নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি ও জনবল কাঠামোর নীতিমালা প্রকাশ করেছে । তবে নতুন করে এখনই এমপিওভুক্ত হচ্ছে না বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে। এমনকি চলতি বছর আর নাও হতে পারে এমন ইঙ্গিতও মিলেছে। তবে আগে এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রকাশিত নীতিমালার সুফল ভোগ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে সরকার। তখন জানানো হয়েছিল, নীতিমালা হালনাগাদ করে নতুন করে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হবে। তার আলোকে নীতিমালা সংশোধনের ঘোষণা আসায় প্রায় সাত হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আশায় ছিলেন। তবে তাদের সে আশা এখনই পূরণ হচ্ছে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, চলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি আছে। আবেদন নিয়ে এ সময়ের মধ্যে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে নতুন করে এমপিও দেওয়া সম্ভব হবে না। নতুন এমপিওভুক্তির খাতে এখন কোনো বরাদ্দ নেই।
তবে এ খাতে কখনোই আগে বরাদ্দ থাকে না জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হলে বিশেষ বরাদ্দ হয়ে থাকে। এসব কারণে চলতি অর্থবছরে নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা কম। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হলে আগামী অর্থবছরে নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।
গত সোমবার এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪৪ পৃষ্ঠার নীতিমালায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। কয়েকটি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মফস্বলের প্রতিষ্ঠানগুলোয় অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে লক্ষাধিক নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা কেটেছে। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা চাকরির ১০ বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র শিক্ষক হবেন। পাশাপাশি পরবর্তী ছয় বছরে উচ্চতর স্কেলে বেতন পাবেন। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রভাষকরা হবেন সিনিয়র প্রভাষক। এমন আরও নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
Discussion about this post