অনলাইন ডেস্ক
ডিজিটাল রেভ্যুলেশন ধরে রাখতে ইন্টারনেটকে বিলাসী সেবা হিসেবে না দেখে একে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর মতো মৌলিক জরুরী সেবা হিসেবে গণ্য করে ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্টের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ওরিক্স বায়োটেককে প্লাজমা ফ্রাকশনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্র ও বিশেষায়িত গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
সৃজনশীল অর্থনীতি ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে এই প্রস্তাব করেন তিনি।
শুক্রবার ‘মেড ইন বাংলাদেশ আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি পলিসি’ নিয়ে ভার্চুয়াল রাউন্ড টেবিল সভায় উপস্থিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিমের কাছে সূচনা বক্তব্যে এই দাবি তুলে ধরেন তিনি।
অংশীজনদের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবটি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক লিভারেজিং ইন আইসিটির নীতি উপদেষ্টা সামি আহমেদ।
প্রস্তবনায় আইটি ও আইটিইএস খাতে আগাম কর প্রত্যাহার এবং ২০২৪ সালের করমুক্তি সনদ প্রাপ্তি সুবিধা বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এছাড়াও এই খাতে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এন এম শফিকুল ইসলাম, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক লিয়াকত আলী, প্রস্তাবিত ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিএমইএ) সভাপতি মাহবুব জামান, চীনের ওরিক্স বায়োটেক হোল্ডিংসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের দেওয়ান শাহরিয়ার, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post