শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। প্রভাষক নিয়োগে প্রার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সিজিপিএ-৩.২৫ থেকে ৩.৫০ থাকতেই হবে। প্রয়োজনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে সেখান থেকে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। বর্তমানে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু সাক্ষাৎকার নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৫২৪ জন শিক্ষক আছেন। এরমধ্যে অনেক নিয়োগে বিতর্কও রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক নিয়োগেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফলের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও ন্যূনতম প্রকাশনা কতগুলো থাকবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখন শিক্ষক নিয়োগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
এ বিষয়ে ইউজিসির একজন সদস্য বলেন, আলোচনার ভিত্তিতেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলের বিষয়টি বাদ দিয়েছেন। কারণ শিক্ষক হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক নিয়োগের জন্য ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দেশিকায়’ এমন নিয়মকানুন রয়েছে। এতে শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন নিয়মকানুনও বলে দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে এখন আরও বেশি যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। কোনোভাবেই এ নির্দেশিকার চেয়ে কম যোগ্যতার শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই এই ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এত দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মতো যোগ্যতা নির্ধারণ করে নিয়োগ দিয়ে আসছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের মতো যোগ্যতা নির্ধারণ করে। অনেক উপাচার্য নিজের স্বজনদের নিয়োগ দিতে যোগ্যতা শিথিলও করছেন। ইউজিসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ কারণে অনেক অযোগ্য প্রার্থী শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন।
Discussion about this post