খেলাধুলা ডেস্ক
দুই দশক ধরে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলছেন পেরেজ। শুরুতে কিছুটা ব্যাকফুটে হলেও বর্তমানে অভিজ্ঞ এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিজেকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
২৫ আগস্ট, ২০০০ সালে উয়েফা সুপার কাপের তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে ভি আই পি বক্সে বসে ছিলেন ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ, লস ব্লাংকোসদের নতুন প্রেসিডেন্ট।
হারার কয়েক দিন পর সমর্থকদের কথা দিয়েছিলেন, যেভাবেই হোক বার্না ব্যু তে উড়িয়ে আনা হবে সময়ের সেরা তারকা লুইস ফিগোকে। সমর্থকদের দেওয়া কথা রেখেছিলেন পেরেজ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে পর্তুগিজ তারকাকে মাদ্রিদে এনে জন্ম দেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ও বিতর্কিত ট্রান্সফারের ঘটনা।
এক সময় লুইস ফিগো, জিনেদিন জিদান, রোনালদো নাজারিও এবং ডেভিড বেকহামদের দিয়ে ‘গ্যলাকটিকোস’ গড়ে তোলার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস, ক্যাসিমেরো, লুকা মদ্রিচদের নিয়ে গড়েছেন আবার ‘ নয়া গ্যলাকটিকো’।
দুই দশকের বড় ক্যারিয়ারে স্প্যানিশ লা লিগায় এইবারের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০০০তম ম্যাচ পূরণ করেছেন। যার ৬৫৭টি ম্যাচ জিতেছে লস ব্লাংকোসরা, হার ১৭১ ও ড্র ১৭২টি। সবমিলিয়ে পেরেজের আমলে রিয়াল মাদ্রিদ ২৩১৬ গোল করে হজম করেছে ১০২৭টি গোল। এসময় রিয়াল মাদ্রিদ ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৫টি লা লিগা, ৫টি ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছে মোট ২৬টি বড় শিরোপা।
Discussion about this post