শিক্ষার আলো ডেস্ক
১৮০টি প্রতিষ্ঠানে ‘এ’ বি’ ‘সি এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির ভিত্তিতে র্যাংকিং করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার। র্যাংকিংয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো করবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা পাবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কারিগরি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়ার সুবিধা তৈরিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির শতকরা হার, সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, পরীক্ষার্থীর পাসের হার, নিজস্ব ভবন ও স্থাপনা, বোর্ডে অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা কমিটি, বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ, নীতিমালা অনুযায়ী ল্যাব স্থাপন, ড্রপ-আউটের হার, ইন্ডাস্ট্রি ও ফার্ম ভিজিট, জাতীয় দিবস পালন, অভিভাবক দিবস পালন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, একাডেমিক কমিটি, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত পূরণ সাপেক্ষে র্যাংকিংয়ে স্থান পাবে। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেতে মোট নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৮১ থেকে ১০ নম্বর পেতে হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেতে হলে ৭১ থেকে ৮০ নম্বর পেতে হবে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেতে হলে ৫১ থেকে ৭০ নম্বর পেতে হবে এবং সি ক্যাটাগরিতে স্থান পেতে হলে ৪১ থেকে ৫০ নম্বর পেতে হবে। আর ৪০ নম্বরের কম পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি ‘ডি’।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপপরিদর্শক বিজয় কুমার ঘোষ জানান, চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার-এ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরকারি পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রতিষ্ঠানে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে ১০ম গ্রেডে সরকারি চাকরি করেন।
তিনি জানান, এছাড়া সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারি ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে সরকারি চাকরির সুযোগ পান। বেসরকারি সংস্থা বেসরকারি কৃষি উপকরণ বাজারজাতে মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। কৃষি ডিপ্লোমাধারীরা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
Discussion about this post