খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফিফা অনুদান প্রদান স্থগিত করেছে- গত ২৪ ঘণ্টায় এটা ছিল ফুটবল অঙ্গনের আলোচিত বিষয়।
কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘ফিফা থেকে কোনো ধরনের ফান্ড স্থগিত করা হয়নি।’
আর্থিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশ (বাফুফে) ও বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার মধ্যে আজ দুপুরে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি ও আবু নাইম সোহাগ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদি তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন, ‘ফিফার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অনেক নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা উঠে এসেছে। আমরা আগামীতে সেই নির্দেশনা অনুসরণ করব’।
ফিফার নির্দেশ ক্রমেই বাফুফে অধিকাংশ লেনদেন চেকে হয় বলে জানান সালাম, ‘আমরা ৭০০-৮০০ টাকার লেনদেনও চেকের মাধ্যমে করি। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি লেনদেন আমরা চেকে করি।’ ফিফার আজকের সভায় মূলত আরো বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার তাগিদ এসেছে, ‘ফিফা বড় কোনো কিছু ক্রয়ের ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনসুরণ করতে বলেছে। অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া করার পরামর্শ দিয়েছে।’
ফিফা বাফুফেকে পারচেস টেন্ডার পলিসি করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ পালন করলে ভবিষ্যত ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামে অর্থ পেতে সহায়তা হবে। করোনা ভাইরাসের জন্য ফিফা বিভিন্ন দেশকে আর্থিক সাহায্য করেছে। বাফুফে আর্থিক সাহায্য চাইলেও সে অর্থ এখনো পায়নি। আজকে ভার্চুয়াল সভায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি করোনা ফান্ডের বিষয়টি বলেছেন। সম্প্রতি মিডিয়ায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেডারেশনের চীফ ফিনানশিয়াল অফিসারের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আজ আবার ভিন্ন সুরে বলেন, ‘সে নিয়মিত অফিস করে না। এজন্য আমি তার উপর আমার ক্ষোভ জন্মেছে। অন্যান্য বিষয় ঠিক রয়েছে।’
গণমাধ্যমের শঙ্কা ফিফা বাফুফেকে নিয়মিত যে অর্থ দেয় সেটা স্থগিত করেছে অডিট আপত্তির মাধ্যমে। সেই বিষয়ে সালামের উত্তর,‘ আমরা নিয়মিত অর্থ পাচ্ছি। সর্বশেষ কিস্তিও পেয়েছি, না হলে বেতন-ভাতাদি দিলাম কিভাবে?।’
মুখে বিষয়টি বললেও গণমাধ্যমকে ফিফার চিঠি বা কোনো প্রমাণাদি দিতে চায় না বাফুফে। এই ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন,‘ ফিফা-এএফসির কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করা যায় না। এই বিষয়টিও সে রকম। আমরা ২০১৬ সালে ফিফা ফিনানশিয়াল পলিসির মাধ্যমে চলছি। সেটা ফিফার কনসালটেন্টই করে দিয়ে গেছেন। ফিফাকে পুনরায় এ রকম একজন কনসালটেন্ট আমাদের দেশে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’
Discussion about this post