নিজস্ব প্রতিবেদক
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়তি অর্থ না-নেওয়ার কড়া নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। এভাবে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন করোনায় আয় কমে যাওয়া অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে অনেকেরই আয় কমেছে, ফের শুরু হয়েছে ‘লকডাউন’। এ অবস্থায় ফরম পূরণের টাকা জোগাড় করতে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক বছর কোনো ক্লাস না হলেও বেতন আদায় করছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের পর টাকা নেওয়া যাবে না বলে বোর্ডের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, টাকা জোগাড় করতে তাদেরকে নানাভাবে ঋণ করে ফি দিতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্কুল, মাদ্রাসা অনুরোধ শুনছে না। রাজধানীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র জানায়, তাদের কাছ থেকে কোচিং ফি-র নামে বাড়তি দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তার বাবা স্কুলে গিয়ে দেখা করলেও টাকাও কম নেয়নি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ফরম পূরণের ফি বাদে কোনো খাতেই টাকাও নেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর টাকা ফেরত দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পুনরায় কার্যক্রম চালাতে পারবে।’
এবার সাড়ে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বুধবার শেষ হলেও আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি-সহ ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল। তবে ‘লকডাউন’ চলায় শিক্ষা বোর্ডগুলো আবার সুযোগ দেবে। সেক্ষেত্রে বিলম্ব ফি নেওয়া হবে না।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হবে বিলম্ব ফি ছাড়াই। লকডাউনের পর চেয়ারম্যানদের বৈঠক আছে। এরপর নতুন সময়সূচি জানানো হবে। বিলম্ব ফি নেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
Discussion about this post