খেলাধুলা ডেস্ক
লিলের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক বিরতির আগেই মাঠে ফিরেছিলেন তিনি। কোনো গোল পাননি, গোল করাতেও পারেননি।
গত ৩ এপ্রিল লিলের বিপক্ষে ম্যাচে ‘খালি হাতে’ মাঠ ছাড়েননি পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। কোনো গোল পাননি, গোল করাতেও পারেননি। মেজাজ হারিয়ে দেখেন লাল কার্ড। এরপর জুটল নিষেধাজ্ঞাও। ফ্রান্সের পেশাদার লিগের (এলএফপি) শৃঙ্খলা কমিটি কাল নেইমারকে লিগ ওয়ানে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে দারুণ খেলেছেন নেইমার। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পিএসজির ৩-২ গোলের জয়ে দুই গোল করিয়েছেন। এর মধ্যে একটি পাস তো মনোমুগ্ধকর। কেউ ভাবতেও পারেনি বলটা নেইমার নিজ দলের গোলকিপারের কাছে না পাঠিয়ে বায়ার্নের বক্সে ফেলবেন। সেখান থেকে গোল করেন মার্কিনিওস। এমন পারফরম্যান্সের রাতেই ঘরোয়া লিগে নিষেধাজ্ঞার খবর পান নেইমার।
ফরাসি লিগ আঁ-তে লিলের বিপক্ষে সেই ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে নেইমারকে বারবার ফাউল করছিলেন তিয়াগো জালো। আগেই এক হলুদ কার্ড দেখা নেইমার মাথা ঠান্ডা করে রাখতে পারেননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে ধাক্কা দিয়ে দেখেছেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড।
২০২০ সালের পর থেকে লিগে ১৪ ম্যাচে এ নিয়ে তিনবার লাল কার্ড দেখলেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ লিগে এ সময়ে তাঁর চেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখেননি কেউ।
শুরুতে এলএফপি তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল তাঁকে। কিন্তু পরে নিষেধাজ্ঞা থেকে এক ম্যাচ তুলে নেওয়া হয়। লিগে আগামী শনিবার স্ত্রাসবুর্গ আর পরের সপ্তাহে সেঁত এতিয়েনের বিপক্ষে দুই ম্যাচে নেইমারকে পাচ্ছে না পিএসজি। তিয়াগো জালোকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করলেও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
এমনিতে কোনো ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড (লাল) দেখলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয়। কিন্তু নেইমারের লাল কার্ড দেখা ও আচরণবিধি ভাঙার অতীত রেকর্ড এ ক্ষেত্রে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব রেখেছে।
এলএফপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৭ এপ্রিল বৈঠকের পর শৃঙ্খলা কমিটি নেইমারকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর মধ্যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।’
লিলের বিপক্ষে হারের পর ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি আছে পয়েন্ট তালিকার ২ নম্বরে, সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে লিল। ৩১ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে মোনাকো, ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চারে লিওঁ।
Discussion about this post