নিউজ ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের ইতিহাসে একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৬৬১ জনে। এ সময় আরও পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি করোনা পরীক্ষাগারে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে মোট ২৬ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৯টি। পরীক্ষায় আরও পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একদিনে মৃত ৭৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন ও নারী ২৪ জন। তাঁদের প্রত্যেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ২২৬ জন (৭৪ দশমিক ৮০ ভাগ) ও নারী দুই হাজার ৪৩৫ জন (২৫ দশমিক ২০ ভাগ)।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৯ ভাগ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩০ ভাগ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ ভাগ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৭ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন এবং রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় দুইজন, বারিশাল এবং সিলেটে একজন করে এবং রংপুর বিভাগে চারজন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পৃথিবীজুড়ে মহামারীতে রূপ নেয়। ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৪০ লাখের অধিক মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২৯ লাখ চার হাজারের অধিক। তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন সাত কোটি ৬১ লাখের অধিক মানুষ। বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে গত ৮ মার্চ। এরপর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
Discussion about this post