নানা কারণে অনেক দিন জমেছিল সরকারের উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম। দায়িত্ব পেয়েই দ্রুততার সঙ্গে দেড় কোটি শিক্ষার্থী আর তার পরিবারের তথ্য সম্বলিত ডেটাবেজ তৈরী করে ‘নগদ’। সারা দেশে ‘নগদ’ এর আড়াই লাখ উদ্যোগক্তাদের মাধ্যমে বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই সহজে টাকা তুলতে পেরেছেন অভিভাবকরা।
সম্প্রতি উপবৃত্তি খাতে এক প্রান্তিকের চারশতাধিক কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে নগদের মাধ্যমে। চলতি মাসেই আরও দুই প্রান্তিকের উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা চলে যাবে শিক্ষার্থীদের মায়ের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে।
গত ডিসেম্বরে আগের অপারেটর বদলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস-‘নগদ’ কে উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ভাতা বিতরণের দায়িত্ব দেয়। ‘নগদ’ এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করায় একদিকে যেমন স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে অন্যদিকে আবার সরকারের জন্য বিতরণ খরচও প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে। আগে এক হাজার টাকা বিতরণ করতে সরকারের সাড়ে ২১ টাকা খরচ হতো আর নগদ’ এর মাধ্যমে সেই খরচ হাজারে ৭ টাকা।
সারা দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী থাকলেও উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ভাতা প্রাপ্য হতে নূন্যতম ৪০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তি এবং ক্লাসে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে।
এদিকে, একজনের টাকা যাতে অন্যজন বেহাত করতে না পারে সে লক্ষ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্ত প্রতিটি মোবাইল নম্বরে ‘নগদ’ এর পক্ষ থেকে আইভিআর কলের মাধ্যমে পিন বা ওটিপি শেয়ার না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য মাধ্যমেও এ বিষয়ে গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা চলছে।
Discussion about this post