খেলাধূলা ডেস্ক
আন্দ্রে রাসেলের ৫ উইকেট আর সাকিব-কামিন্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের লাগালেই পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও ভালো হয়েছিল।কিন্তু দুই ওপেনার বাদে বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে বসলো মরগানবাহিনী।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১০ রানে হেরেছে কলকাতা। শুরুতে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৫২ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই। জবাবে ২০ ওভার খেলেও ১৪২ রান তুলতেই সব উইকেট হারায় কলকাতা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কলকাতার দুই ওপেনার নিতিশ রানা ও শুভমান গিল মিলেই তুলে ফেলেন ৭২ রান। কিন্তু মুম্বাইয়ের স্পিনার রাহুল চাহারের বলে গিল (৩৩) স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। যার খেসারত দিতে হলো ম্যাচ হেরে।
দলীয় ৮৪ রানে রাহুল ত্রিপাঠী (৫) এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগান (৭) দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে নামেন সাকিব। আগের ম্যাচে সাতে নামা সাকিবকে এই ম্যাচে নামানো হয় পাঁচে। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সেট ব্যাটসম্যান নিতিশ ৪৭ বলে ৫৭ রান করে বিদায় নেওয়ার দুই বল পরেই বিদায় নেন সাকিব। ওই সময় জেতার জন্য ৫ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ৩১ রান দরকার ছিল কলকাতার। স্লগ সুইপ শট খেলতে গিয়ে সাকিব আসলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ডিপ মিড-উইকেটে থাকা সূর্যকুমার যাদব সহজ ক্যাচ নেন। ৯ বলে ৯ রান করে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটেন সাকিব।
দু’বার জীবন পাওয়া রাসেল ও দীনেশ কার্ত্তিক সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। আগের ম্যাচে দারুণ ক্যামিও খেলে ম্যাচ জেতানো কার্ত্তিক আর বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রাসেল মিলেও প্রয়োজনীয় রান তুলতে ব্যর্থ হন। উল্টো ট্রেন্ট বোল্টের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে বিদায় নেন রাসেল (১৫ বলে৯)। এক বল পরেই বোল্ড হয়ে ফেরেন প্যাট কামিন্স। শেষ বলে হরভজন সিং ২ রান নিলেও দলের জয়ে তা যথেষ্ট ছিল না।
বল হাতে মুম্বাইয়ের রাহুল চাহার ৪ ওভারে ২৭ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। সমান রান খরচে ২ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। বাকি উইকেট ক্রুনালের।
এর আগে টস জিতে আগে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাঝারি সংগ্রহ গড়ে গুটিয়ে যায় মুম্বাই। ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকিয়েছেন দলটির সূর্যকুমার যাদব (৫৬)। অধিনায়ক রোহিত করেছেন ৪৩ রান। বলার মতো রান আসেনি আর কারো ব্যাট থেকে।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও কলকাতার জার্সিতে ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা সাকিব বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। এরপর সপ্তম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে দেন ৬ রান। প্রতি বলেই সিঙ্গেল। নবম ওভারে এসে মুম্বাইয়ের রানের লাগাম টেনে ধরেন তিনি, ৬ বলে ৬টি সিঙ্গেল দেন। ইনিংসের একাদশ ও নিজের শেষ ওভারে একটি উইকেট নেন সাকিব। ৪ ওভারে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৩/১, ওভারপিছু রান ৫.৭৫ করে। বাউন্ডারি দিয়েছেন মাত্র ১টি।
সাকিবের পাশাপাশি আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তীও দুর্দান্ত বোলিং করেন। এর মধ্যে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার রাসেল একাই ২ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচে নেন ৫ উইকেট। কামিন্স ২টি ও ১টি করে উইকেট নেন বরুণ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
Discussion about this post