আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু ভারত। সংক্রমণের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে দেশটি। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড এক হাজার ৭৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। শনাক্ত হয়েছে আড়াই লাখেরও বেশি।
আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভারত গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক হাজার ১৭৬১ কোভিড মৃত্যুর ঘটানা নিবন্ধন করেছে। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এসময় আরও ২ লাখ ৫৯ হাজারেরও বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৩ লাখের অধিক।
একইদিনে মহারাষ্ট্রে ৫৮ হাজার ৯২৪ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৩৫১ জন। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৯৮ হাজারে এবং মোট মারা গেছেন ৬০ হাজার ৮২৪ জন। মোট আক্রান্ত বিবেচনায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যথাক্রমে কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন ও রত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হচ্ছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দিল্লিতে চলছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে কেরালার রাজ্য সরকার। কঠোর বিধি-নিষেধের কথা ভাবছে কর্ণটক সরকার।
এদিকে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামী এক মে থেকে ১৮ বছর হলেই টিকা নেওয়া যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট উৎপাদনের শতকরা ৫০ ভাগ পূর্বনির্ধারিত মূল্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং বাকি অংশ রাজ্য সরকার ও বাজারে বিক্রির জন্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করেছে। করোনার তাণ্ডবে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। করোনা শনাক্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষণ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যবরণ করেছে এক লাখ ৮০ হাজারের অধিক। তবে এক কোটি ১০ লাখের অধিক মানুষ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন।
Discussion about this post