আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ (বুধবার) ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৫তম জন্মদিন। কিন্তু এবার আর তার এই জন্মদিন ঘিরে বড় ধরনের কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। মাত্র কয়েকদিন আগেই তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর কারণে পুরো রাজপরিবারে শোক বিরাজ করছে। সে কারণেই এবার রানির জন্মদিন ঘিরে কোনো বিশেষ আয়োজন থাকছে না।
গত ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রিন্স ফিলিপ। ১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিক ও ড্যানিশ রাজপরিবারে জন্ম নেয়া প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাজতন্ত্রকে আধুনিকায়ন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
বাকিংহাম প্যালেসের দেয়ালের ভেতরে এলিজাবেথের রানি হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রানির আস্থাও অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ, সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ফিলিপের প্রতি এক বিরল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। রানি তখন বলেন, ‘তিনি বেশ সহজাতভাবে এতগুলো বছর ধরে আমার শক্তি হয়ে পাশে আছেন।’
গত শনিবার উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরে অবস্থিত সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে তাকে সমাহিত করা হয়। তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানটি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডে এখন করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেসব বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখে এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে মাত্র ৩০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছেন এবং মাস্ক পরে ছিলেন।
প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে রাজ পরিবারে দু’সপ্তাহের শোক পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রানি এলিজাবেথের জন্মদিনে আগের মতো কোনো কিছুই এবার হবে না। টাওয়ার অব লন্ডনে গান স্যালুট অথবা হাইড পার্কেও কোনো আয়োজন থাকছে না।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে পরিবারের সদস্যরা রানির সঙ্গে দেখা করবেন। তারা তাকে এ বিষয়ে আশস্ত করবেন যে, তিনি একা নন। ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় লন্ডনের ব্রুটন স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন রানি এলিজাবেথ। ১৯৫২ সালে ২৫ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন তিনি।
Discussion about this post