পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা অতিমারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে বাড়ির কাজ দিতে হবে শিক্ষকদেরকে। বাড়ির পড়াও বুঝিয়ে দিতে হবে। আর আদায় করতে হবে বাড়ির কাজ। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় । আর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবি ও নেপের কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, এ কাজগুলো ওয়ার্কশিট আকারে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে এ ওয়ার্কশিটের কাজ বুঝিয়ে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেবেন। আবার সে কাজ বুঝে নেবেন। শিক্ষার্থীরা যদি কাজ বুঝতে না পারে সে বিষয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা করবেন। মূলত বাড়িতে বসে থাকা শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও সংসদ টিভি বা রোডিওতে চলমান পাঠদানের সাথে সমন্বয় সৃষ্টি করাই এ সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য।
জানতে চাইলে নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ্ আলম বৃহস্পতিবার বলেন, এ বিষয়ে এনসিটিবির সাথে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছি। কর্মপরিকল্পনাটি তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে পাঠানো হবে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে শিক্ষকদের বাড়ির কাজ দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে এনসিটিবির সাথে নেপের কর্মকর্তাদের কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কর্মপরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়িরকাজ দেয়ার এ বিষয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনূর আল আমিন বলছেন, এভাবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির কাজ দেয়াটা শিক্ষকদের জন্য কষ্টকর হবে। অনেক শিক্ষার্থীর বাড়িতে হয়তো শিক্ষকদের ঢুকতে দেয়া হবে না। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অসম্ভব হয়ে যাবে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের স্কুলে এসে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যেতে হয়। যদিও চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থাগিত আছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোন নম্বর দেয়া হয়না। তবে, শিক্ষার্থীদের শাব্দিকমূল্যায়ন করা হয়।
বিষয়টি উল্লেখ করে একাধিক শিক্ষক নেতা বলেছেন, এভাবেও যদি বলা হতো সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেত। তবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়িরকাজ দেয়ার দায়িত্ব শিক্ষকদের দেয়া ঠিক হবে না।
Discussion about this post