অনলাইন ডেস্ক
ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে শনাক্তের নতুন রেকর্ড। সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্তের বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি হয়েছে দেশটিতে। কোভিডের সুনামি যেন আচড়ে পড়ছে। সংক্রমণের এমন বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও ভ্যাকসিন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কাঁচামালের অভাবে ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করতে পারছে না। বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে টিকার আকাল। এই পরিস্থিতিতে টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি। তবে বিদ্যমান বাস্তবতায় ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা ওষুধ কতটা জরুরি, সেটি বুঝতে পারছে হোয়াইট হাউস। তবে দেশের আইন অনুযায়ী কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় সরকারকে। আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এবার থাবা বসালো ‘ট্রিপল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়্যান্ট।‘ ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশটির অন্তত চারটি রাজ্যে এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলো হচ্ছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও ছত্রিশগড়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের তিনটি আলাদা স্ট্রেইন মিলে তৈরি নতুন এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রামক ক্ষমতাও প্রায় তিন গুণ বেশি।
শুধু বাড়তি সংক্রামক ক্ষমতাই নয়, বরং নতুন এই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থারও দ্রুত অবনতি ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিক সময় লাগাম পরানো না গেলে এবার সংক্রমণ সুনামির আকার ধারণ করতে পারে।
Discussion about this post