খেলাধূলা ডেস্ক
ক্রিকেট বিশ্বে তারকার সুখ্যাতির অভাব নেই। যুগে যুগে ক্রিকেট প্রেমীরা দেখেছে ভিন্ন ভিন্ন তারকাদের।
ভারতের মুম্বাইয়ে আজকের দিনে (২৪ এপ্রিল) জন্ম নিয়েছিলেন শচীন। তিনি ৪৮ বছর পূর্ণ করলেন। ক্রিকেটের নতুন সংস্করণ টি-২০ বাদে ওয়ানডে ও টেস্ট দুই ফরম্যাটেই ব্যাটিংয়ে সব রেকর্ডই শচীনের দখলে।
ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত শচীন সেই স্কুল জীবন থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। পরে হয়েছেন ক্রিকেট পন্ডিত। আর যখন পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙেছেন তখন হয়েছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।
১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শচীনের। একই বছরের ডিসেম্বরে হয় ওয়ানডে অভিষেক।
ওয়ানডেতে রেকর্ড ৪৬৩ ম্যাচ খেলে ৪৪.৮৩ গড়ে করেছিলেন রেকর্ড ১৮৪২৬ রান। রয়েছে ৯৬টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪৯টি সেঞ্চুরি। টেস্টে খেলেছেন ২০০টি ম্যাচ। যেখানে ৫৩.৭৮ গড়ে করেছেন ১৫৯২১ রান। ৬৮টি হাফ সেঞ্চুরির আর ৫১টি সেঞ্চুরি।
শচীন ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ছয়টি বিশ্বকাপ খেলা শচীন ২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের সকল প্রাপ্তি পূর্ণ করেন। পরে ২০১২ সালে ওয়ানডে ও ২০১৩ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলে ক্রিকেটকে বিদায় দিয়ে অবসরে যান শচীন।
অন্যান্য সময় কেক কেটেই দিনটি উদযাপনে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু করোনার আবহে সেই আয়োজন থেকে দূরেই থাকছেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট। তবে নিজের জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে করোনা রোগীকে প্লাজমা দানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এমন ঘোষণার পেছনের কারণ কারও অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন শচীন। ছিলেন ২১ দিনের আইসোলেশনে। এখন করোনা জয়ী হয়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর পরেই তিনি প্লাজমা দানের বিষয়টি তুলে আনেন, ‘গত বছর আমি একটি প্লাজমা ডোনেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছি। সেখানকার চিকিৎসকরাই বলেছেন, যদি রোগীকে যথা সময়ে প্লাজমা দেওয়া যায়। তাহলে করোনা রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। আমি নিজেও যখন উপযুক্ত হয়ে যাবো, প্লাজমা দান করবো।চিকিৎসকের কাছেও আমি সেটি বলে রেখেছি।’
Discussion about this post