নিউজ ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেবা দিতে দেশে জরুরি ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ জন নার্স নিয়োগ করবে সরকার। করোনার কারণে গত ৩১ মার্চ স্থগিত করা ওই পরীক্ষা জরুরি শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি কর্ম কমিশনতে (পিএসসি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১ মার্চে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদে ২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। গত ২৮ জানুয়ারি সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউয়ের ফল প্রকাশ করে পিএসসি।
পরে ১১ মার্চ দশম গ্রেডের পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করেছিল পিএসসি। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৫ হাজার ২২৮ জন প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর ১৫টি কেন্দ্রে বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ৩১ মার্চ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দ্রুত এই নিয়োগ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য খুব তাড়াতাড়ি লিখিত পরীক্ষার আয়োজনের কথা জানিয়েছে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে।
জানা গেছে, যেহেতু পরীক্ষার তারিখ আগে একবার দেওয়া হয়েছে সেহেতু পরীক্ষার জন্য কম সময় দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চিঠি দিয়েছে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, তারা এই পরীক্ষা কম সময়ে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। শিগগিরই কমিশন সভা করে এটি জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার তারিখও দেওয়া হবে।
Discussion about this post