খেলাধূলা ডেস্ক
দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব। নিখাদ ব্যাটিং পিচে অনায়াসে রানবন্যা ছুটিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সফরকারীদের বোলিংয়ের চেহারা সেই প্রথম টেস্টের মতোই ছন্নছাড়া। যার ফায়দা তুলে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা দিন শেষে তুলেছে ২৯১ রান।
দিনের প্রথম দুই সেশনে জমিয়ে ব্যাট করেন দুই লঙ্কান ওপেনার। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের দ্বাদশ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন করুণারত্নে। সেঞ্চুরির দেখা পেতে ১৬৫ বল খেলেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। হাঁকিয়েছেন ১৩টি বাউন্ডারি। এখনও টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন এমন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দীনেশ চান্ডিমালের সেঞ্চুরি সংখ্যা ১১টি করে।
প্রথম টেস্টে ২৪৪ রানের বড় ইনিংস খেলা করুণারত্নে অবশ্য একটি সুযোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার স্কোর যখন ৪৯ রান, তখন তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন লঙ্কান দলপতি। তবে সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। করুণারত্নের রান ছিল তখন ২৮। জীবন পাওয়া করুণারত্নে পরে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন ভালোভাবেই।
দুই সেশন রাজত্ব করার পর তৃতীয় সেশনে উইকেট পেতে মরিয়া বাংলাদেশকে প্রথম স্বস্তি এনে দেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা শরিফুল ইসলাম। তার বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন করুণারত্নে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৮ রানের ইনিংস। ইনিংসটি সাজাতে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ১৫টি।
করুণারত্নের বিদায়ের পর ধীরেসুস্থে খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন থিরিমান্নে। ২১২ বলে ১১টি বাউন্ডারিতে সাজানো এই সেঞ্চুরি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও চলতি বছরের দ্বিতীয়। দিনশেষে ১৩১ রানে অপরাজিত থাকেন থিরিমান্নে। ৪০ রানে ব্যাট করছিলেন ওশাদা ফার্নান্দো। দিনের শেষ ওভারে শরিফুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছিলেন থিরিমান্নে। আম্পায়ার কুমার ধর্মাসেনা আউটের সিদ্ধান্তও দিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিও নিয়ে বেঁচে যান থিরিমান্নে। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যেতো।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্রয়ে শেষ হয়েছে।
Discussion about this post