খেলাধূলা ডেস্ক
জমে উঠেছে এবারের স্প্যানিশ লা লিগা। টুর্নামেন্টের ৩৩ রাউন্ড শেষেও শিরোপার দৌড়ে রয়েছে শীর্ষ চার দল। তবে একের পর এক ড্র আর পরাজয়ে বার্সেলোনার রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারল না কাতালান ক্লাবটি।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রানাডাকে যেকোনো ব্যবধানে হারাতে পারলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যেত রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। সেই কথা মাথায় রেখে প্রথমে গোল করে লিডও নিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা ধরে রাখতে পারেনি। দুই গোল হজম করে ম্যাচ হেরেছে ১-২ ব্যবধানে।
নিজেদের ঘরের মাঠে গ্রানাডার কাছে ১-২ গোলের পরাজয়ের ফলে এখন পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরেই রয়ে গেছে বার্সেলোনা। বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচের সবকয়টি জিতলে এবং আরও কিছু সমীকরণ নিজেদের পক্ষে পেলে ২৭তম লা লিগা শিরোপা জিততে পারবে বার্সেলোনা।
ম্যাচের পুরো সময় একক আধিপত্য ছিল বার্সেলোনার। প্রায় ৮২ ভাগ সময় বলের দখল ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। গোলের উদ্দেশ্যে অন্তত ১৬টি শট করে তারা। যেখানে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৪টি আর গোল মেলে ১টি। অন্যদিকে মাত্র দুইটি শট লক্ষ্য বরাবর রেখে তাতেই গোল আদায় করে নেয় গ্রানাডা।
প্রথম গোলটি করেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় মেসি ও অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানের দারুণ বোঝাপড়ায় লিড নেয় বার্সেলোনা। গ্রিজম্যানকে ছোট করে পাস বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন গ্রিজম্যান। পরে ফিরতি পাস পেয়ে সেটি জালে জড়ান বার্সা অধিনায়ক।
চলতি লা লিগায় মেসির এটি ২৬তম গোল। এরই মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ সাতটি পিচিচি ট্রফি জেতা মেসি, এবারও রয়েছেন শীর্ষে। তার চেয়ে পাঁচ গোল কম নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই সহজ সুযোগ আসে গ্রিজম্যানের সামনে। কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। কিন্তু ৬৩ মিনিটের সময় ভুল করেনি গ্রানাডা। তড়িৎ গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে বার্সা রক্ষণকে বোকা বানায় তারা। সমতাসূচক গোলটি করেন ডারউইন মাচিস।
গোল হজম করার খানিক পর কোনো এক বিষয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় লাল কার্ড দেখেন বার্সা কোচ কোম্যান। আর ৭৯ মিনিটের সময় বার্সা হজম করে দ্বিতীয় গোল। এবার স্কোর শিটে নাম তোলেন বদলি নামা ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জর্জ মোলিনা।
বাকি সময়ে আর গোল শোধ করা হয়নি বার্সেলোনা। ফলে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। অন্যদিকে ন্যু ক্যাম্পে প্রথম জয়ের উল্লাসে মাতে গ্রানাডা।
এই হারের পর ৩৩ ম্যাচে ২২ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭১, সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় রিয়াল দুই নম্বরে। শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ৭৩। শিরোপা লড়াইয়ে আছে সেভিয়াও, ৭০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে তারা।
Discussion about this post