বিনোদন ডেস্ক
নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের বক্তব্যে, ‘বামনদের ভূখণ্ডে তাঁর মাথা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সবাইকে। আবার তিনি নিজেও এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছিলেন যে সবাইকে বামন বানিয়ে ছেড়েছিলেন।’ এ কথাগুলো তিনি আজ ফেসবুকে লিখেছেন ভারতবর্ষের সেরা চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়কে উদ্দেশ্য করে৷
বরেণ্য এই পরিচালক ও সাহিত্যিক বিশ্ব দরবারে ভারতবর্ষের সিনেমাকে তুলে ধরেছেন৷ আন্তর্জাতিক বিশ্বে তিনি মিস্টার রে হিসেবে পরিচিত হলেও বাঙালির কাছে মানিক দা বলেও খ্যাত। মানিক দা’র আজ শততম জন্মবার্ষিকী।
কিংবদন্তি এই চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখকের ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন ববিতা। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবি দিয়ে জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য স্বীকৃতি জয় করেছেন তিনি। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কলকাতার আরেক বরেণ্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
সেই সত্যজিৎ রায়, প্রিয় মানিক দা’র শততম জন্মদিন উপলক্ষে ববিতার সঙ্গে কথা হয়। ববিতা শুরুতেই বললেন, ‘আমি সবসময় উনাকে, উনার কাজকে মিস করেছি। আজকের বিশেষ এ দিনে আরও বেশি করে মনে পড়ছে তাকে৷’
ঘরের প্রতিটি জায়গায় সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙিয়ে রেখেছেন ববিতা। প্রতিদিন ছবির দিকে তাকালেই তার সব কথা মনে পড়ে বলে জানান এই অভিনেত্রী।
বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যেতে পেরেছি। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরতে পেরেছি শুধুমাত্র সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা হয়েছিলাম বলে। আজ সেই মানুষটির জন্মদিনে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি’- যোগ করেন ববিতা।
তিনি মনে করেন, সময় যত যাচ্ছে সত্যজিৎ রায় ও তার সিনেমা দর্শন ততোই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। তার কাজ নিয়ে যুগের পর যুগ আলোচনা করবে মানুষ৷
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের স্মৃতিচারণ করে ববিতা জানালেন এক মজার গল্প। তিনি বলেন, ‘অশনি সংকেত’ মুক্তি পর ভারতের আনেক পরিচালক আমাকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে অনেকে, মানিক দা’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আমি বোম্বে গিয়ে একা একা কাজ করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তাছাড়া বোম্বের বাসিন্দা হতে চাইনি কখনো। একজন সত্যজিৎ রায়ের একটি ছবিতেই কাজ করেছি। সেই ছবিতে প্রচুর সম্মান পেয়েছি। আর কিছু চাওয়ার ছিল না। আজও নেই৷ আমি আমার দেশে কাজ করেই আনন্দিত।’
Discussion about this post