নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ। ঈদের বাজারেও উপচেপড়া ভিড়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বারবারই উপেক্ষিত থাকছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ। এবার সুপারিশ না মানলে দেশে ভারতের মতো বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দোকান-শপিংমল খোলার সিদ্ধান্তের পর ঈদ বাজারের দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।
এপ্রিলের শুরুতে করোনা শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। এ অবস্থায় ১৪ই এপ্রিল সর্বাত্মক বিধিনিষেধ দেয় সরকার। ধাপে ধাপে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে চলে আসে। যদিও বিধিনিষেধ চলেছে ঢিলেঢালা। এমন অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, অফিসে উপস্থিতি অর্ধেক করাসহ ১৪টি সুপারিশ দেয় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লা বলেন, ‘লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ উঠে গেলেও সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেব।’
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল জানান, এই জনসমাগম থেকেই আবার করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে মার্কেট ও শপিংমলে যে ভিড় লক্ষ্যে করা যাচ্ছে তার ফল বোঝা যাবে ঈদের পর। তখন আর ১৪টি সুপারিশে কাজ হবে না।’ দেশের জনগণের স্বভাব পরিবর্তনের পরামর্শ দেয় ডা. আবু জামিল ফয়সাল।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সর্বাত্মক বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর সব লাগামছাড়া হলে আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা যখ লকডাউন প্রত্যাহার করে নিব তব করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু হবে।
দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় না আনা পর্যন্ত বড় ঝুঁকি থেকেই যাবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post