খেলাধূলা ডেস্ক
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে আর প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি সেভিয়ার। লা লিগায় প্রথম লিগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর এবার ২-২ গোলে ড্র করেছে সেভিয়া।
এই ড্রতে অবশ্য আগের মতো পয়েন্ট তালিকায় আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচ খেলে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে হেড টু হেড এ দ্বিতীয় অবস্থানে ফিরে এসেছে। বার্সেলোনা ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। সেভিয়া বরং ৭১ পয়েন্ট নিয়ে ভালোই চোখ রাঙানি দিচ্ছে।জিনেদিন জিদান এই ম্যাচে সবশেষ চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ খেলা সের্হিয়ো রামোস, ফেরল্যান্ড মেন্ডি ও এডেন হেজার্ডকে একাদশে রাখেননি। তাদের জায়গায় ওদ্রিয়োসোলা, মার্সেলো ও ভালভার্দে খেলেছেন।
শুরু থেকে রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে ছিল। বল দখলের পাশাপাশি সেভিয়াকে চেপে ধরেছিল। ১২ মিনিটে গোল প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। ১২ মিনিটে অড্রিওজেলার ক্রসে করিম বেনজেমা লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে জাল কাঁপান। কিন্তু ভিনিসুয়াসের পাসে আগেই ওদ্রিয়োসোলা অফসাইড পজিসনে থাকার কারণে রিয়াল গোল পায়নি।
একটু গুছিয়ে নিয়ে সেভিয়া আক্রমণে উঠেই লক্ষ্যভেদ করেছে। ২২ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ে নিঁখুতভাবে গোলকিপার কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন রড্রিগো।
ম্যাসে সমতা আনার জন্য রিয়াল কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু কাসেমিরো-বেনজেমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই ড্রেসিংরুমে গিয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। সেখান থেকে ফিরে অবশ্য ৫৪ মিনিটে রিয়ালের পেনাল্টির দাবি উঠছিল। ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে রেফারি তাতে সায় দেয়নি।
৬১ মিনিটে কাসেমিরোর জোরালো শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে সেভিয়ার একটি প্রচেষ্টা ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে সমর্থকদের হতাশ করে।
৬৫ মিনিটে ভিনিসুয়েসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ম্যাচে সমতা ফেরা হয়নি রিয়ালের।
৬৬ মিনিটে মডরিচের জায়গায় অ্যাসেনসিও মাঠে নামেন।
মাঠে নেমেই চমক। পরের মিনিটে সমতাসূচক গোলটি এসেছে তার কাছ থেকে।
৬৭ মিনিটে টনি ক্রুসের পাসে বক্সের ভিতরে ফাঁকায় থেকে এসেনসিয়ো চলতি বলে পা চালিয়ে দেন ১-১। গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
৭৪ মিনিটে নাটকীয় মুহূর্ত। সেভিয়া পেনাল্টি পায়। মিলিতাওর হাতে বল লাগে। বেশ কিছুক্ষণ ভিএআর পর্যালোচনার পর পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। কোর্তোয়ার বিপরীত দিকে বল পাঠিয়ে রাখিটিচ লক্ষ্যভেদ করে সেভিয়াকে এগিয়ে নেন।
ম্যাচ যখন সেভিয়া জিততে যাচ্ছিলো প্রায়। তখনই রিয়ালে আবারও সমতাসূচক গোল।
ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে টনি ক্রুসের জোরালো শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে গতি বদলে জালে জড়ায়। আর এতেই সেভিয়ার জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ।
Discussion about this post