আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাংলার ঘরে ঘরে ঈদ ফিতর পালন করা হবে। এ ঈদে সাধারণত সেমাইয়ের চলন বেশি থাকে। এজন্য মজাদার করে রান্না করুন নবাবী সেমাই।
এটি একটি অতি পরিচিত মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। ঈদুল ফিতরে সেমাই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়াও অনেকেই ঘরে আসা অতিথিকে সেমাই দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। সেমাই অনেকেরই পছন্দের খাদ্য তালিকার শীর্ষে থাকে। সেমাই অবশ্যই অনেকেই অনেক ধরনের করে রান্না করে পরিবেশন করে থাকেন। কিন্তু নবাবী সেমাই! নওয়াবি সেমাই যা স্বাদে একবারে নতুনত্ব।
চলুন দেখে নেই নবাবী সেমাই তৈরি করবেন যেভাবে।
উপকরণ:
সেমাই- ৪০০ গ্রাম
ঘি- ২/৩ টেবিল চামচ
গুঁড়ো দুধ- ৪/৫ টেবিল চামচ
চিনি- স্বাদমতো
জর্দার রং- হাফ টেবিল চামচ।
ক্রিম তৈরিতে যা লাগবে:
দুধ- ১ লিটার, কনডেন্স মিল্ক- ১ কাপ, গুড়ো দুধ- হাফ কাপ, ক্রিম- হাফ কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার- ৪ টেবিল চামচ।
ক্রিমের প্রস্তুতি প্রণালি:
আগে থেকে গরম করা এক কেজি পরিমাণ গরুর দুধ, কনডেন্স মিল্ক, গুঁড়া দুধ, ক্রিম, এবং কর্নফ্লাওয়ার ভালো ভাবে মিশিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে। যাতে করে এক কেজি পরিমাণ দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়।
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে চুলায় একটি বড় পাত্রে ঘি গরম করে নিতে হবে। ঘি গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে একে একে সেমাই, গুঁড়া দুধ, চিনি দিয়ে অল্প আঁচে ভালো ভাবে ভেঁজে নিতে হবে। ভাজা সেমাই থেকে গরম অবস্থায় পাত্রে এক কাপের মতো রেখে বাকিটা অন্য একটি পাত্রে তুলে রেখে দিতে হবে। পাত্রে যেটুকু সেমাই ছিল সেই সেমাইয়ের সাথে অল্প পরিমাণে জর্দার রং মিশিয়ে দিতে হবে।
পরিবেশন
যে পাত্রে পরিবেশন করা হবে সে পাত্রে প্রথমে ঘি দিয়ে আলাদা করে ভেজে রাখা সেমাই টুকু দিতে হবে। তার উপর ক্রিমের মিশ্রণ দিতে হবে। অবশেষে, জর্দার রং দিয়ে ভেজে রাখা সেমাই ক্রিমের উপর দিতে হবে। বাড়তি সৌন্দর্য এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে উপরে বাদাম এবং কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন মজাদার, সুস্বাদ এই নওয়াবি সেমাই।
Discussion about this post