প্রযুক্তি ডেস্ক
মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে বেইজিংয়ের মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১ এর জুরং নামে রোভার। লাল গ্রহে তাদের প্রথম অভিযানেই এই সাফল্য নিঃসন্দেহে মহাকাশ অভিযানে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর পাশেই বসিয়ে দিল চীনকে।
শনিবার (১৫ মে) এ তথ্য জানায় বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
রোভারকে সঙ্গে করে তিয়ানওয়েন-১-এর ল্যান্ডারটি ‘আতঙ্কের সাত মিনিট’ কাটিয়ে নিরাপদে মঙ্গলের মাটিতে নেমে আসে একটি প্যারাশ্যুটে করে। পূর্ব নির্ধারিত ‘ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া’ অঞ্চলেই নেমেছে সেটি।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির কাছে অবতরণের খবরটিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’।
অন্তত ৯০টি মঙ্গল দিবসে সেখানে ঘুরে বেড়াবে জুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে সেটি। খতিয়ে দেখবে মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন। করবে বরফের সন্ধান। যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে আসে তবে সেটিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণও করবে জুরং।
মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চীনের। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, তাদের এই মিশনই এ পর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সেরা হতে চলেছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি তার। ফলে লাল গ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।
গত ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল তিয়ানওয়েন-১। ওই মাসেই মার্কিন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু’টি মহাকাশযানও প্রবেশ করেছিল ওই কক্ষপথে। মার্কিন রোভার পারসিভিয়ারেন্সে মঙ্গলের মাটিতে নানা কীর্তি গড়েছে।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেইজিং। ইতোমধ্যেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো, চাঁদে মহাকাশ অভিযানের মতো সাফল্য রয়েছে তাদের মুকুটে। এবার প্রথম অভিযানেই মঙ্গলের মাটিতে রোভারকে নামিয়ে কার্যত রাশিয়া ও আমেরিকাকে ‘মহাকাশ রেস’-এ জোর টক্কর দিল বেইজিং।
Discussion about this post