জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
চীন থেকে আসা করোনার টিকা মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষার্থীদের দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঈদের ছুটির মধ্যে উপহার হিসেবে চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা এসেছে। সেই টিকাই মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষার্থীদের দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
জানা গেছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা টিকার মজুত প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। রোববার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে বলা হয়, এ টিকা আর এক সপ্তাহ দেওয়া হতে পারে। কিছু কেন্দ্রে এক দিনের মধ্যে টিকা শেষ হবে। কিছু কেন্দ্রে এক সপ্তাহের পরও দু-এক দিন দেওয়া হতে পারে টিকা। তবে কোনো কেন্দ্রেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আপাতত টিকা পাঠাবে না।
সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা প্রথম সারির কর্মী ও ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছেন। কিন্তু চীনের টিকার ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। এ টিকার পরিমাণ কম। চীন মাত্র পাঁচ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এর মধ্য থেকে ৩০ হাজার টিকা বাংলাদেশে থাকা চীনা নাগরিকদের জন্য চেয়েছে দেশটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, চীনা টিকা মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখের কম। বাকি টিকা কারা পাবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একজন কর্মকর্তা বলেন, টিকার বিষয়ে আজ সোমবার (১৭ মে) সভা হওয়ার কথা আছে। চীনের টিকা শিক্ষার্থীরা ছাড়া আর কাদের দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের চীনের টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজারজন প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। এঁর মধ্যে ৩৭ লাখ ৮৩ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। টিকা প্রয়োগের সময় কিছু নষ্ট হয়েছে। এখন যে পরিমাণ টিকা আছে তা দিয়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে না। অপেক্ষায় থাকবেন আরও প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।
Discussion about this post