খেলাধূলা ডেস্ক
করোনাকালে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে চলছে নানা তোলপাড়। তবুও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নিজেদের অবস্থানে অনড়, যে কোনো মূল্যেই আয়োজন করতে হবে অলিম্পিক। তবে এবার আরও বড় ধাক্কাই হজম করেছে অলিম্পিক। স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ দেখিয়ে প্রতিযোগিতাটির পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আসাহি শিম্বুন পত্রিকা।
বিশ্বে দিনপ্রতি সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এই পত্রিকা শুধু নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরিয়ে নিয়েই থেমে থাকেনি, দাবি তুলেছে গেমস বন্ধ করার জন্যও। পত্রিকাটির সম্পাদকীয় পাতায় ছাপা এক প্রবন্ধে এ দাবি জানানো হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার কাছেও। সেখানে বলা হয়েছে, ‘শান্তভাবে আপনি এই পরিস্থিতিটাকে পুনরায় মূল্যায়ন করুন। এরপর আসন্ন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক বাতিলের সিদ্ধান্তটা নিন।’
আগামী ২০ জুন পর্যন্ত টোকিওতে করোনা পরিস্থিতি রুখতেই জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। এতকিছুর পরেও গেমস হবে কিনা এমন এক প্রশ্নে গেমসের সহ সভাপতি জন কোয়াটেস বলেছিলেন, ‘জরুরী অবস্থাতেও গেমস হবেই। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা ভেবেই মূলত আমরা অ্যাথলেট ও সাধারণের নিরাপত্তার পরিকল্পনা করে রেখেছি।’
এমন বক্তব্যের পর সেই প্রবন্ধে সমালোচিত হয়েছেন গেমসের সহ-সভাপতিও। প্রবন্ধটিতে বলা হয়, ‘নিজের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি না দেখিয়েই হ্যাঁ বলাটা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বার্থপর স্বত্বাটাকে সামনে তুলে ধরছে।’
আগামী ২৩ জুলাই থেকে মাঠে গড়ানোর কথা আসছে অলিম্পিকের। এর ঠিক আগমুহূর্তে অন্যতম পৃষ্ঠপোষকদের এভাবে প্রতিবাদ করে সরে যাওয়াটা বড় একটা ধাক্কাই হয়ে এল প্রতিযোগিতাটির জন্য। যদিও প্রতিযোগিতাটির স্পনসরের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, তবু আসাহি শিম্বুনের এই সিদ্ধান্ত বাকিদের ভাবনাকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটিতে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধিতা সেই ২০২০ সাল থেকেই চলে আসছে। দেশটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন গেমস বাতিলের দাবি। সময় যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে যেন বাড়ছে এই বিরোধিতার মাত্রাও। এর আগে টোকিও শহরের মেয়রের কাছে গেমস বাতিলের জন্য গণস্বাক্ষর জমা পড়েছে। এরপরই এল আসাহির এই সরে যাওয়ার ঘোষণা।
Discussion about this post