নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) উচ্চশিক্ষায় ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা’ প্রণয়ন করবে । উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। অনসাইট এবং অনলাইন এডুকেশন সমন্বিত করে এটি তৈরি করা হবে।
অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিক্ষণ পদ্ধতির নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই সভায় ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্ট্র্যাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০১৮-২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উন্নত দেশের আদলে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা তৈরি করা হবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কোনো প্রোগাম বা কোর্স একইসাথে অনলাইন এবং অনসাইট শিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এ নীতিমালা প্রণয়নে নিজস্ব সংস্কৃতি, সক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও আন্তর্জাতিক মানের দিকে নজর দেওয়া হবে।
প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম স্বাভাবিক সময়ে স্বশরীরে পাঠদানের পাশাপাশি যাতে ভার্চুয়াল পাঠদান চালু থাকে এই নীতিমালায় সেদিকে খেয়াল রাখার ওপর তাগিদ দেন।
সভায় অংশ নিয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যুগের চাহিদা ও কোভিড -১৯ এর কারণে অনলাইন শিক্ষা এখন সময়ের বাস্তবতা। দেশে বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক কোন অনুমোদন নেই। ব্লেন্ডেড লার্নিং ও অনলাইন লার্নিং নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এই নীতিমালা ইউজিসিকে নতুন একটি উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্লেন্ডেড লার্নিং এডুকেশন প্রবর্তন করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনা করে ওয়ার্কিং কমিটি একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করবে যা মূল কমিটি পর্যালোচনা করে একটি চূড়ান্ত নীতিমালা তৈরি করবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রফেসর ড. কাজী মোহাইমিন আস-সাকিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আ. ফ. ম. সাইফুল আমিন, ইস্ট ওয়েয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোজ্জাম্মেল হক আজাদ খান, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সাদেকুল ইসলাম, ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন ও এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন যুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের স্ট্রাটেজিক প্লানিং এন্ড কোয়ালিটি এসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম।
Discussion about this post