খেলাধূলা ডেস্ক
ঢাকার মিরপুরে বৃষ্টির পর কার্টেল ওভারে হলেও ম্যাচটা শেষ হয়েছে। পারটেক্স গ্রুপকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে শিরোপার ফেবারিট আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু বিকেএসপিতে দুটি ম্যাচের একটিও শেষ করা যায়নি বৃষ্টির কারণে। দুটিতেই শেষ করতে হয়েছে অমিমাংসিতভাবে। যার ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে এই দুই ম্যাচে অংশ নেয়া চারটি দলকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং ওল্ডডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাব। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ভর করে ১৭১ রান করেছিল ওল্ডডিওএইচএস। এরপরই নামে বৃষ্টি।
বিকেএসপির চারনম্বর মাঠে খেলতে নেমেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম দোলেশ্বর। ওই ম্যাচের ১৮.৪ ওভার হওয়ার পরই নামে বৃষ্টি। তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছিল ব্রাদার্স। এরপরই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। যা শেষ পর্যন্ত আর শেষ করা যায়নি। সেখানেই সমাপ্তি টানতে হয়।
সকাল ৯টায় ঠিকই ম্যাচ শুরু হয়েছিল বিকেএসপির দুই মাঠেই। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় তিন নম্বর গ্রাউন্ডে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ওল্ডডিওএইচএসের হয়ে ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তার ব্যাটের ঝড় শেষ হতে না হতেই খেলা থামিয়ে দেয় বেরসিক বৃষ্টি।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই ওল্ডডিওএইচএসকে দারুণ সূচনা এনে দেন আনিসুল ইসলাম ইমন এবং রাকিন আহমেদ। ৩৮ রানের জুটি গড়ার পর ১৯ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন আনিসুল ইমন। রাকিন আহমেদ করেন ৩৩ বলে ৪৬ রান।
তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তুলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৫ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
পরের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে ওল্ডডিওএইচএস। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহিদ, নাবিল সামাদ এবং সাব্বির রহমান নেন ১টি করে উইকেট।
ওল্ডডিওএইচএসের ইনিংস শেষ হওয়ার পরই তুমুল বৃষ্টি নামে বিকেএসপিতে। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। একই সময় খেলা বন্ধ হয়েছে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচও।
বৃষ্টির আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা মুখোমুখি হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরের। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার মিজানুর রহমান এবং জুনায়েদ সিদ্দিকি মিলে দারুণ সূচনা এনে দেন ব্রাদার্সকে।
৫০ রনের জুটি গড়েন তারা। মিজানুর রহমান ২৩ বলে করেন ৩১ রান। জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ৪৮ রান। এরপরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে। জসিমুদ্দিন, মায়সুকুর রহমান, জাহিদুজ্জামান, রাহাতুল ফেরদৌসরা ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি।
শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবু করেন ২০ রান। মোহাম্মদ শাহজাদা এবং সুজন হাওলাদার ৫ রান করে উইকেটে ছিলেন।
Discussion about this post