নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইনে বা শারীরিক উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রতি অগ্রাধিকার থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। আজ সোমবার (৩১ মে) তিনি বলেন, আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তথ্য অনুসারে, দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুর স্বার্থে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে গ্রহণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। গত ২৭ মে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে ইউজিসি কর্তৃক ইতিপূর্বে প্রেরিত সরাসরি (ইনপারসন) ও অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতি গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ গতকাল রবিবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়ে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে পর্যায়ক্রমে মাস্টার্স, অনার্স চতুর্থ বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তবে কোন পদ্ধতিতে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয় রয়েছে। কোন পদ্ধতি পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা অনলাইন পরীক্ষা এবং সশরীরে উপস্থিত পরীক্ষার মধ্যে দ্বিতীয়টিকে অগ্রাধিকার দেব।
Discussion about this post