নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। সমন্বিত ভর্তি কমিটির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। আগামী ১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে আয়োজক কমিটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দেশে একদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা এবং অপরদিকে সরকারি বিধি-নিষেধ (লকডাউন) আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো ফলে আগামী জুন মাসে নির্ধারিত সময়ে এসব পরীক্ষা আয়োজনের কোন সম্ভবনা নেই। শিগগির সমন্বিত ভর্তি কমিটি বসে এ ভর্তি পরীক্ষার পুন:নির্ধারিত তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।
তথ্যমতে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। গত ১ এপ্রিল থেকে জন্য শুরু হয়েছে প্রাথমিক আবেদন। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত চলবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদন।
সেই হিসেবে আগামী ৭ জুন থেকে সরকার চলমান লকডাউন তুলে নিলেও ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক আবেদন। এরপর প্রাথমিকভাবে আবেদন থেকে ৬টি ক্রাইটেরিয়া ক্রমানুসারে ব্যবহার করে চূড়ান্ত মেধাক্রম প্রস্তুত করবে সমন্বিত ভর্তি কমিটি। তারপর মেধা তালিকা প্রকাশ করে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
ভর্তি কমিটি বলছে, পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিক আবেদন শেষে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন সংক্রান্ত যেসব আনুসাঙ্গিক কাজ রয়েছে তা আগামী জুন মাসে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই জুনে নির্ধারিত সময়ে এসব পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ১৯ জুন থেকে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সরকার ঘোষিত বিধি-নিধেষ যদি আগামী ৭ জুন থেকে তুলে নেয় তাহলে প্রাথমিক আবেদন শেষ হবে ১৬ জুন। এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও আবেদন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও তৈরি— তাই ধরেই নিতে পারি যে, আগামী ১৯ জুন থেকে পরীক্ষা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে আবেদন শেষের দিকে আর চূড়ান্ত তালিকার আবেদনও নিতে হবে। তাই আমরা শিগগির এ ব্যাপারটি নিয়ে মিটিং ডেকে আলোচনা করবো। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার পুন:নির্ধারিত তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, শিগগিরিই আমরা একটি বৈঠকে বসবো এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
তবে কোন বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বৈঠক না করে এটা বলা মুশকিল। আগে আমরা বৈঠকে বসি সেখানে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করে যদি বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা অবশ্যই বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করবো।
Discussion about this post