নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মাদক এবং প্রযুক্তির নেতিবাচক দিকে আসক্ত হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী । যা আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর ব্যাপার। একটা জেনারেশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে তারা এভাবে ঘরে বসে বসে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবে।
এখন যে ভয়ানক মাদকের কথা শোনা যাচ্ছে তাতে আসক্ত হয়ে একজন ছাত্র নিজেই নিজের জীবন শেষ করে ফেলেছে। এটা তো অবিশ্বাস্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখে মাদক ও প্রযুক্তির নেশাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, শিক্ষাখাতকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।
এটা যেন একটা হাসি-খুশির ব্যাপার। বলা হলো- ১৩ই জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এখন আবার বলছে- করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। এদিকে সকল শিক্ষার্থীকে টিকা না দেয়া পর্যন্ত নাকি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার কি কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে? নাকি সকল শিক্ষার্থীর জন্য টিকা নিশ্চিত করেছে। কবে করোনা শনাক্তের হার পাঁচের নিচে নামবে আর কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে?
তিনি বলেন, কল-কারখানা, বাজার-হাট, বিপণিবিতান, যানবাহন সবই যদি খোলা থাকতে পারে তবে কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আজ পুরো শিক্ষাখাত একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। শহরে কিছু শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু গ্রামেগঞ্জের শিক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করার সুযোগ না পেয়ে ঝরে পড়ছে।
এতে করে শিক্ষাখাতে বৈষম্য বাড়ছে। অনলাইনে ক্লাসের নামে শিশু-কিশোররা সহজেই প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে গেছে।
Discussion about this post