শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে টেলিস্কোপে বাংলাদেশ থেকেই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে । জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অধীনে কর্কট ক্রান্তি রেখা ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার সংযোগস্থল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্থাপিত হতে যাওয়া এই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র’ নামের এই প্রকল্পের ব্যয় অনুমেদান পেয়েছে ২১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটিকে মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র বলা হলেও মূলত ভৌগলিক গুরুত্ব বিবেচানায় এটিই হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’। কেননা ককর্ট ক্রান্তি ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মিলনস্থলটি ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১ জুন) গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যদিও ভাঙ্গায় জমি অধিগ্রহণ, অফিস ভবন, অবজারভেটরি টাওয়ার, অফিসার্স কোয়ার্টার, সার্ভিস ভবন এবং পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের কাজ সহ এটি তৈরিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।
এদিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এই বৈঠকে আজ প্রায় ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ৪ কোটি ৩৯ লাখ এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ২৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র’ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিষুব রেখা, কর্কট ক্রান্তি রেখা ও মকর ক্রান্তি রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করেছে। অন্যদিকে, চারটি দ্রাঘিমা রেখা- ০ ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি পূর্ব, ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব-পশ্চিম ও ৯০ ডিগ্রি পশ্চিম পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করেছে। পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী তিনটি রেখা এই চারটি দ্রাঘিমা রেখাতে মোট ১২টি বিন্দুতে ছেদ করেছে। এর ১০টি ছেদস্থল বিভিন্ন সাগর-মহাসাগরের উপরে অবস্থিত, স্থলভাগে আছে মাত্র দু’টি।
স্থলভাগের একটি ছেদস্থল পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে, সেখানেও সাধারণের যাতায়াতের সুযোগ নেই। সহজে যাতায়াত করা যায়, এমন একমাত্র ছেদস্থল ভাঙ্গারদিয়ায় এ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসবেন। পদ্মা সেতু চালু হলে সেখানে যাতায়াতও খুব সহজ হবে।
Discussion about this post