তানভীর পিয়াল
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেছেন, বাংলাদেশের গুণগতমান সম্পন্ন গবেষণার জন্য যে অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন, তার প্রথম ধাপ হলো
মৌলিক গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি। এক্ষেত্রে গবেষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্লেজারিজম তথা নকলের প্রবণতা রোধ করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে ২০১৯ সালে নিজ উদ্যোগে প্লেজারিজম ডিটেকশন সফটওয়্যার ‘টার্নইটইন’ কিনেছিলো ইডিইউ। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও বহুল ব্যবহৃত এই সফটওয়্যারের সাবস্ক্রিপশন কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হলেও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে এ উদ্যোগ নিয়েছিলো এ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবহার করার জন্য টার্নইটইনের সাবস্ক্রিপশন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ ব্যয়বহুল সফটওয়ার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অভিভাবক সংস্থা নীতিমালা প্রণয়ন করবে, যাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। এ পদক্ষেপ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাঈদ আল নোমান।
আজ ৩ জুন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফটওয়্যার ব্যবহারসহ আধুনিক নানা সুযোগ-সুবিধা ও পাঠদান কৌশলকে স্বীকৃতি প্রদান বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার জন্য ইতিবাচক। টার্নইটইন কেনার সিদ্ধান্ত গবেষণাকে উন্নত করবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার গুণগতমান উন্নয়নে প্লেজারিজম রোধের গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রতিষ্ঠালগ্নে তথা ২০০৮ সালেই এ ধরনের সফটওয়্যার কেনার কথা ভাবলেও সদ্য প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় তখন এর ব্যয়ভার করতে পারেনি। পরবর্তীতে সক্ষমতা অর্জনের সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকের জন্য নিজস্ব আইডির পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন কিনেছিলো ইডিইউ।
এর সুফল পাচ্ছেন ইডিইউর প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী থেকে মাস্টার্স পর্যায়ে গবেষণারত শিক্ষার্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই ইডিইউর প্রত্যেক শিক্ষার্থী মৌলিক ও গুণগত মানসম্পন্ন এসাইনমেন্ট তৈরিতে বাধ্য হওয়ার মাধ্যমে গড়ে উঠছেন গবেষক হিসেবে।
Discussion about this post