নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কর্মদক্ষতার প্রতিফলন হলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) । তাই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যগুলোর সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে এবং বাস্তবায়নযোগ্য কর্মকাণ্ডসমূহকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতাভুক্ত করতে হবে।
ইউজিসি সদস্য ও এপিএ টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজসি সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব ড. ফেরদৌস জামান।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউজিসির কাজের পরিধি বর্তমানে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ বিশাল কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকার। তিনি এপিএ টার্গেট পূরণে ইউজিসি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
মাহবুব হোসেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে উন্নীত হতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেওয়া সহজ ও সাশ্রয়ী করতে প্রশাসনিক কাঠামোতে সংস্কার অপরিহার্য। এক্ষেত্রে নতুন সেবা তৈরি এবং বিদ্যমান সেবা নতুনভাবে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি মো. হাসানুল ইসলাম এপিএ’কে সরকারি কাজ পরিমাপের প্যারামিটার হিসেবে উল্লেখ করে এর লক্ষ্যগুলোকে দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মো. আবু তাহের বলেন, এপিএ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইউজিসি আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে কোভিড মহামারির মধ্যেও এপিএ’র টার্গেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
কর্মশালায় ইউজিসি’র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীর।
Discussion about this post