অনলাইন ডেস্ক
সরকার বৃক্ষরোপণ অভিযানকে একটি টেকসই ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমে পরিণত করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করতে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদানের জন্য ১৪ জন ব্যক্তি এবং ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে ।
রোববার (৬ জুন) ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯’ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে থাকে। জাতীয় কমিটির সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনা করে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়/উচ্চ বিদ্যালয়/ইবতেদায়ি মাদ্রাসা/সিনিয়র মাদ্রাসা’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, সাতক্ষীরা; কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী এবং শিয়ালী তালেমুন কুরআন নূরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, পটুয়াখালী মনোনীত করেন।
‘কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মৌকরণ বি.এল.পি ডিগ্রি কলেজ, মৌকরণ, পটুয়াখালী; আছমত আলী খান কলেজ, লাউকাঠী, পটুয়াখালী এবং আলহাজ মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ, খুলনাকে মনোনীত করা হয়।
‘ইউনিয়ন পরিষদ/উপজেলা পরিষদ/জেলা পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ, রামপাল, বাগেরহাট এবং ঈশ্বরদী পৌরসভা, পাবনাকে মনোনীত করা হয়।
‘এনজিও/ক্লাব/স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে বনায়ন, জগতি, কুষ্টিয়া এবং বাংলাদেশ স্কাউটস, পঞ্চগড় মনোনীত হয়েছেন। ‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে সামাজিক বন বিভাগ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর; সামাজিক বন বিভাগ যশোর, (এসএফএনটিসি) সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ, কচ্ছপিয়া বিট, বাঘখালী রেঞ্জকে মনোনীত করা হয়।
‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উনুচিং মারমা, খাগড়াছড়ি; পারভীন সিরাজ, মুন্সিগঞ্জ এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে ইসাক আহমেদ, নাটোর এবং মো. মেহেদী হাসান কবির, বড়লেখা, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন। ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উত্তরা ভাই ভাই নার্সারি, প্রো. হেলেনা আক্তার হেনা, সাভার, ঢাকা; ফতেয়াবাদ নার্সারি, প্রো. মোছাম্মৎ রুজিনা ইয়াছমিন, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে বৃক্ষবন্ধু নার্সারি, প্রো. নিলু বেগম, মৌলভীবাজার এবং সততা নার্সারি, অঞ্জনা রানী পাল, খুলনা মনোনীত হয়েছেন।
‘বাড়ীর ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে নাহিদা বারিক, কলাবাগান, ঢাকা; রাখী দে, দিনাজপুর সদর এবং ওয়াহিদা ইয়াসমিন, বেতিয়াপাড়া, রাজশাহী মনোনীত হয়েছেন। ‘বৃক্ষ গবেষণা/সংরক্ষণ/উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ড. মো. আব্দুল হাকিম মণ্ডল, রাজবাড়ী; মো. মোকাম্মেল হক খান, চট্টগ্রাম এবং হৃদয় চন্দ্ৰ দেবনাথ, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বনমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বৃক্ষরোপণ করে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। সরকার গত অর্থবছর দেশে আট কোটির অধিক বৃক্ষরোপণ করেছে। এবারও আট কোটির ওপরে বৃক্ষরোপণ করা হবে। সরকারের পাশাপশি ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ এগিয়ে আসলে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এ সময় মন্ত্রী ভবিষতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্মানীর পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে জানান।
উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপণে যারা বিশেষ অবদান রাখেন তাদেরকে ১৯৯৩ সাল থেকে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার’ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি পুরস্কার প্রাপককে সনদপত্র ছাড়াও প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
Discussion about this post